ডেস্ক: দিনকয়েক আগেই দুটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষায় জানা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অপেক্ষা জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা চেঁচামেচি করলেও মমতার উন্নয়নের তরি যে পাল তুলে ছুটে চলেছে তার সত্যতা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। খাদ্যসাথী, ১০০ দিনের কাজ, ই-গভার্নান্স ইত্যাদি প্রকল্পের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান আগেই দখল করেছিল বাংলা। এবার কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষাতেও ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা।
সোমবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। সেখানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির তরফ থেকে একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করা হয়। সেই পুরো রিপোর্ট জুড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। এই অর্থনৈতিক সমীক্ষায় রাজ্য ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির হালহকিকত তুলে ধরা হয়। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিকাঠামো নিরূপণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন-সব কিছুতেই এগিয়ে মা-মাটি-মানুষের বাংলা। মমতার আমলে গ্রামীণ প্রশাসন পরিচালনা থেকে শুরু করে স্বরোজগারের প্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে বিশেষ উন্নতি করেছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভূমি রাজস্ব ও জমি সংক্রান্ত খাজনা আদায়ে দেশের সেরা রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাত।
এই রিপোর্টে এমন কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এমনকি আর্থিক কমিশনের সুপারিশের ক্ষেত্রেও বাংলার স্থান প্রথম সারিতে। এখানেই শেষ নয়, বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার নিরিখেও এগিয়ে রয়েছে বাংলা। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে এ রাজ্যের ৯১ শতাংশ মানুষই বিশুদ্ধ পানীয় জল পেয়ে থাকেন। একই সঙ্গে সারক্ষতা বেড়েছে, এবং শিশুমৃত্যু কমেছে, এমন কথাও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সেই রিপোর্টে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার এহেন সার্টিফিকেট দেওয়ার ফলে রীতিমতো ফাঁপরে পড়ে গিয়েছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা। মুকুল থেকে শুরু করে দিলীপ, কেন্দ্রের রিপোর্টকে অবহেলা করার উপায় তাদের কাছে নেই। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসী থাকা বাংলার শাসক শিবির আরও অক্সিজেন সহ নির্বাচনে লড়ার নতুন হাতিয়ার পেয়ে গেল।