ডেস্ক: অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অত্যাধুনিক মিসাইল অস্ত্রশস্ত্রে নিজেদের ভাড়ার ভরলেও, দেশের সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ ছিল আদ্যিকালের পুরানো অত্যন্ত ভারী বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। বর্তমান সময়ে সীমান্তে যুদ্ধের জন্য কোনওভাবেই শত্রুপক্ষের পেরে উঠত না সেই জ্যাকেট। ফলে দেশের সুরক্ষায় সীমান্তে প্রাণ দিতে হত সেনাবাহিনীকে। অবশেষে টনক নড়ল প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। দীর্ঘ ৯ বছর পর এবার অত্যাধুনিক বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা। একইসঙ্গে সেনাদের হাতে আসবে অত্যাধুমিক অস্ত্রশস্ত্রও
সূত্রের খবর, সেনা জওয়ানদের জন্য বানানো হচ্ছে ১.৮৬ লাখ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। যার জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৬৩৯ কোটি টাকা। সোমবার এসএমপিপি প্রাইভেট লেমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। যেখানে এই বিপুল পরিমান বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট সহ নতুন অ্যাসল্ট রাইফেল, ক্লোজ কোয়ার্টার ব্যাটেল কার্বাইন সহ লাইট মেশিন গান পাবে সেনা। সেনাদের জন্য এই জ্যাকেটগুলি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। লং ডিসট্যান্স প্যাট্রোলিং, হাইরিস্ক রুম চিহ্নিত করার সময়ও যাতে পরিস্থিতি সামলাতে পারেন জওয়ানরা সে ব্যবস্থা রয়েছে এই জ্যাকেটে। কমব্যাটে ৩৬০ ডিগ্রি প্রোটেকশন দেবে এই জ্যাকেট৷ স্টিল ক্রোর বুলেট লাগলেও সুরক্ষিত থাকবে জওয়ানরা৷ সঙ্গে এতে থাকছে জিএসকিউআরএস ১৪৩৮ টেকনিক্যাল প্যারামিটার, বোরন কার্বাইট সেরামিক৷ ব্যালেস্টিক সুরক্ষার জন্য এই সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে জ্যাকেটগুলিতে। সংস্থা সূত্রের খবর আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই জ্যাকেটগুলি দেওয়া শুরু হবে তবে ৩ বছরের মধ্যে সব জ্যাকেটগুলি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পাক ভারত সীমান্তে একে একে শহিদ হয়েছেন বহু জওয়ান। সেনাদের সুরক্ষা নিয়ে সংসদে বারে বারে আলোচনা উঠেছে। ২০০৯ সালে এই ১.৮৬ লাখ জ্যাকেট কেনার দাবি মেনে নিয়েছিল ইউপিএ সরকার। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০১৬ সালে জরুরি ভিত্তিতে কেনা হয় ৫০ হাজার জ্যাকেট। তবে এইবার সেনা সুরক্ষার জন্য এই বিপুল পরিমান জ্যাকেট কেনার পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।