নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর: দীর্ঘদিন ধরে মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে, কংসাবতী নদীর পাড়ে কেবিন বানিয়ে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল স্থানীয় এক ব্যাক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে হাতেনাতে পাকড়াও করে এক মহিলাসহ কেবিনের মালিককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার অন্তর্গত কংসাবতী নদীর তীরবর্তী কালগাং এলাকায়।
মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে কংসাবতী নদীর চরে কালগাং এলাকাতে কেবিন বানিয়ে সেখানে অবৈধ দেহ ব্যাবসার অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। দিনেরবেলাতেও পাশপাশি থাকা কেবিন গুলিতে তরুন তরুনীদের আড্ডা বসে যেত। স্থানীয়দের অভিযোগ পরিবেশটি অবৈধ মধুচক্রের আড্ডা হয়ে পড়ছিল। স্থানীয়রা প্রাথমিক আপত্তি করেও কাজ হয় নি। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘেরাও করে কেবিন থেকে এক তরুনী সহ মালিককে আটক করে। স্থানীয়রা আটকানোর পর ধৃত মহিলা জানান, তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। কাজে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে মেদিনীপুরে নিয়ে আসা হলেও বিগত দিন কয়েক ধরে তাকে ব্যবহার করা হচ্ছিল দেহ ব্যবসার কাজে। এই কাজটি করছে স্থানীয় যুবক প্রশান্ত ঘোষ।
গ্রামবাসীরা পরে প্রশান্ত ঘোষ নামে ওই যুবক তথা মালিককে গুরগুরিপাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার জানিয়েছেন,’এলাকায় বেশ কয়েকটি কেবিন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে। খুব শীঘ্রই বাকি কেবিন গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশকে ক্রমেই অসামাজিক করে তুলেছে এই কারোবার। আমরা পুলিশকে সক্রিয় হতে বলেছি।’ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গুরগুরিপাল থানার পুলিশ।