ডেস্ক: বাঘ ধরতে গিয়ে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হল দুই বনকর্মীর। মঙ্গলবার সকালে গোয়ালতোড় থানার হামারগোড়ার জঙ্গলে গাড়ির মধ্যে থেকে পাওয়া যায় ওই দুজনের দেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দরজা, জানালা লাগানো অবস্থায় গাড়ির মধ্যে ঘুমের সময় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই দুই জনের। মৃত ওই দুজনের একজন গাড়ির চালক অমর চক্রবর্তী এবং অন্যজন ডাবু মুর্মু নেমে এক বনকর্মী।
গত কয়েকদিন ধরে নাওয়া খাওয়া ভুলে বাঘের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। সোমবার দুপুরে ওই এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেলে বন্দুক ও ঘুম পাড়ানি গুলি সহ ওই এলাকায় যান ওই দুইজন। পাশে বাঘ ধরার খাঁচাও পেতে রাখা হয়। রাতে সেখানে ডিউটিতে রাখা হয় ওই দুইজনকে। এদিন সকালে গাড়ির মধ্যে তাঁদের মৃত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ওই দুজনের মৃতদেহ। পুলিশ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, রবিবার গোয়ালতোড়ের কুশপাতা জঙ্গলে শিকার করতে গিয়ে বাঘের হামলায় জখম হন এক ব্যক্তি। লালগড়, শালবনি, সারেঙ্গা, বাঁশতলা, গোয়ালতোড়ের বিভিন্ন এলাকায় রাত নামলেই অবাধ বিচরণ করতে শুরু করেছে বাঘ। বনকর্মী দের বাঘ ধরার খাঁচা, বন্ধুক, ঘুমপাড়ানি গুলি কোনও কিছুর নাগালেই আসেনি বাঘ। বাঘের অবস্থান জানতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোনও কিন্তু তাতেও দেখা মেলেনি বাঘের। এরইমাঝে বাঘ ধরতে গিয়ে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হল দুই বনকর্মীর।