ডেস্ক: গতকালই ইথিওপিয়ায় ৭ ভারতীয় কর্মীকে পণ-বন্দি করে রাখার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। অবশেষে দীর্ঘ ৬ দিনের বন্দিদশার পর ২ ভারতীয় কর্মী মুক্তি পেলেন। ইথিওপিয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনানশিয়াল সার্ভিস গ্রুপের দুই কর্মী বরিশ বান্ডি ও ভাস্কর রেড্ডির মুক্তিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক খানিকটা স্বস্তিতে রয়েছেন। তবে সাতজনের মধ্যে বাকিরা এখনও ছাড়া পাননি। গতকাল বন্দিদের মধ্যেই নীরজ রঘুবংশী নামে একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ”গত ২৫ নভেম্বর থেকে তাদেরকে আটক করে ওরোমিয়া ও আমহারা প্রদেশের ৩ টি স্থানে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁর দাবি, তিনিও ৫ মাস ধরে অন্যান্য কর্মীদের মতই মাইনের সমস্যাতেই ভুগছিলেন। কাজেই এখানে তাদের আটক করার কোনও যুক্তিই নেই।”
সূত্রের খবর, দুই ভারতীয় কর্মী পণ-বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেলেও নীরজ রঘিবংশী এখনও মুক্তি পাননি। তাঁকে এখনও আটক করেই রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁকে ছাড়িয়ে আনার জন্যই যাবতীয় চেষ্টা চালানো হচ্ছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। প্রসঙ্গত, ইথিওপিয়ায় ওই সাত ভারতীয় কর্মীরা একটি রোড প্রজেক্টের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পাননি। ফলে সেখানকার সমস্ত কর্মীদের রোষ গিয়ে পড়ে ভারতীয় কর্মীদের উপর। ইথিওপিয়ার অন্যন্য কর্মীদের ধারণা ওই সাত ভারতীয়কে আটক করলেই তাঁরা বেতন পেয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, গোটা বিষয়টা ভারত বিদেশ মন্ত্রকের কানে পৌঁছানো মাত্রই তদন্ত শুরু হয় কেন্দ্রের তরফে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ভারতীয়দের পণ-বন্দি করা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি ইথিওপিয়ার ওই সংস্থা। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্থার তরফে বেতন না পাওয়াতেই ওই ভারতীয়দের আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই আজকে দুই ভারতীয়কে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু নীরজ রঘুবংশের মুক্তি ঘিরে শুরু হয়ে জল্পনা।