ডেস্ক: বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকে ঠিক কতজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সেনার তরফ থেকে পরিস্কারভাবে কিছু না জানানো হলেও বিজেপি নেতারা একাধিক সংখ্যার কথা বলেছেন। শেষে অমিত শাহ ২৫০ জন নিকেশের কথা বলার পর বিতর্ক আরও বেড়েছে। তবে বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, লক্ষ্যপূরণ করাই উদ্দেশ্য ছিল, লাশ গোনা সরকারের দায়িত্ব। এছাড়া ‘নয়া অভিযান’ নিয়েও একপ্রকার ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন তিনি। কিন্তু আদতে কতজন জঙ্গি নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে, বা আদৌ হয়েছে কিনা, তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। তবে, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা NTRO যে রিপোর্ট পেশ করেছে তা অন্য তথ্যই দিচ্ছে।
NTRO-র রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে যে, বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকের আগের দিন ওই অঞ্চলে অন্তত ৩০০ মোবাইল ফোন অ্যাকটিভ ছিল। এই খবর পেয়েই ভারতীয় বায়ুসেনাকে খবর দিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই বালকোটে এয়ারস্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, তার আগে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন নজরদারি চালিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয় এবং সহমত পোষণ করে। সবদিক থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেয়েই পাকিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই ৩০০ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়ছে। যদিও এয়ারস্ট্রাইকের পরেই ৩০০-৩৫০ জঙ্গির নিকেশ হওয়ার কথা বলা হয় কোনও প্রমাণ ছাড়াই। তাই জল্পনা বেড়েছিল গোটা দেশজুড়ে, একইসঙ্গে বিজেপি সরকার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছিল। পাশাপাশি বায়ুসেনার তরফেও জঙ্গি নিকেশের সংখ্যায় সিলমোহর না দেওয়ায় বিতর্ক আরও বেড়েছিল। তবে এই রিপোর্ট সামনে আসার পর অন্তত বিজেপি সরকার অস্বস্তি থেকে বেরোতে পারবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।