মহানগর ওয়েবডেস্ক: গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে আতঙ্কের অন্য নাম করোনাভাইরাস। বিশ্বের ১১৬ টি দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৮০। এহেন পরিস্থিতিতেই এবার আরও বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মর্কেল। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, জার্মানিতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
জার্মানিতে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০ জন। সেই প্রেক্ষিতেই বুধবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এঞ্জেলা মর্কেল বলেন, ‘আমরা জানি এই মুহূর্তে আমাদের কী করণীয়। যদিও সেই হিসাবে করোনা সামলানোর প্রস্তুতি অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।’ তবে করোনা রুখতে ইতিমধ্যেই মাঠে নামেছে জার্মানি। কোনও রকম বড় জমায়েতের উপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এরসঙ্গেই বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি আরও জানান, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাগাতার বেড়েই চলেছে। ভাইরাস রুখতে এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিনও বাজারে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের অনুমান শুধুমাত্র জার্মানির মোট জনসংখ্যার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন এই মারণ ভাইরাসে।’
অন্যদিকে, করনার বাড়বাড়ন্তের জেরে গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO(হু) COVID-19-কে ‘প্যান্ডেমিক’ তকমা দিয়েছে। কোনও রোগ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে তাকে ‘প্যান্ডেমিক’ বলা হয়৷ কোনও রোগ ছড়িয়ে পড়লে, তিনটি পর্যায়ে তাকে ভাগ করে হু। প্রথমে আউটব্রেক, অর্থাত্ রোগটি ছড়াচ্ছে৷ এপিডেমিক, অর্থাত্ মহামারী৷ এপিডেমিক কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশেও হতে পারে। কিন্তু যখন তামাম দুনিয়ায় ছড়িয়ে যায় সেই রোগ, তখন তা প্যান্ডেমিক অর্থাত্ আন্তর্জাতিক মহামারী৷
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম ঘেব্রেসাস বলেছেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগের বিস্তার ও তীব্রতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি তিনি উদ্বিগ্ন আশঙ্কাজনক সংক্রমণ নিয়েও। সেই কারণে এই ভাইরাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ভাইরাসের প্রকোপে একটা গোটা মানব সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।