নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েকদিন আগে নিজের রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। দলের নাম ঘোষণার পর এবার পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ভাবে আসরে নেমে পড়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে জোটের বিষয়টি নিয়ে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। এখনও চলছে সেই আলোচনা। তবে জোটের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরপর সভা করছেন আব্বাস সিদ্দিকী। সেই সব সভায় ভিড় উপচে পড়ছে।
কয়েকদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর সভা করেছিলেন তিনি। উল্লেখযোগ্য ভাবে সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিন তিনি সভা করেন মালদায়। সেই সভায় আব্বাস সিদ্দিকী বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। বলেন, ‘বিজেপি দশটা মারলে আমরা বিশটা মারব। আমরা হাতে চুড়ি পরে বসে নেই।‘ শুধু তাই নয়, এদিন তিনি একযোগে নিশানা করেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকেও।
আজ মঙ্গলবার মালদার কালিয়াচকের সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বামুনগ্রামে আয়োজিত এই সভায় আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি তৃণমূলকে বলেছিলাম আমাকে ৪৪টি আসন দেওয়া হোক। আপনারা আড়াইশো আসনে লড়ুন। কিন্তু দেখছি, প্রশাসন দিয়ে জুলুম চলছে। গায়ের জোর দেখাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে ভয় দেখানো হচ্ছে বিজেপি’র নামে। বলা হচ্ছে, বিজেপি চলে আসবে। এদিকে আবার বিজেপি বলছে মারবে। বিজেপির ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন।‘
এরপর তিনি বলেন, ‘বিজেপি যদি দশটা মারে, আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই, বিশটা মারব’। আব্বাস সিদ্দিকীর এই মন্তব্যে পরিষ্কার পুরোদস্তুর রাজনৈতিক প্রচার তিনি শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে, তিনি একাই লড়বেন, নাকি কোনও দলের সঙ্গে জোট করবেন- তা এখনও চূড়ান্ত করেননি। তবে বাম-কংগ্রেসের তরফে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তাঁর দল হয়তো শেষ পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়তে পারে।
ইতিমধ্যে একাধিক বাম ও কংগ্রেস নেতা বলেছেন আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে তাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে মতের মিল আছে। ফলে তাঁর সঙ্গে জোট হতে পারে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত জোটের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে যদি আব্বাস সিদ্দিকী মিশে যান, তা হলে রাজ্য রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য লড়াই হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ভোট সিংহভাগ তাদের দখলে আসতে পারে।