নিজস্ব প্রতিবেদক, মাল: ডেপুটেশন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল ডুয়ার্সের মালবাজার পরিমল মিত্র মহাবিদ্যালয়। তৃণমূল এবং এবিভিপির সক্রিয় কর্মী তথা সমর্থকদের মধ্যে ঘটল সংঘর্ষের ঘটনাও। তাতে আহত হলেন এবিভিপির জলপাইগুড়ি জেলা সহ সংযোজক সহ দুই পক্ষের প্রায় ১০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে। জানা গিয়েছে, এবিভিপির পক্ষ থেকে এদিন দুপুরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে। কিন্তু এবিভিপির সদস্যরা কলেজ গেট দিয়ে ঢোকার সময় তাদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বহিরাগত আওয়াজ তুলে তাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
মালবাজার কলেজে দীর্ঘদিন থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। সেই কারনে নির্বাচনের দাবিতে এদিন এবিভিপির পক্ষ থেকে কলেজের অধ্যক্ষ্যের কাছে ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার কর্মসূচী ছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ না থাকায় এদিন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, অধ্যক্ষ ছুটিতে আছেন। তার সঙ্গে কথা বলার পরেই ডেপুটেশন জমা নেওয়া হবে। সেই কথা শোনার পর এবিভিপির কর্মী সর্মথকরা অধ্যক্ষ্যের ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যায়। এরপর এবিভির কর্মী সর্মথকরা ফের কলেজে ঢোকার চেষ্টা করলে তৃণমূলের কর্মীরা তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেয়। তার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। এবিভিপির জেলা সহ সংযোজক অর্ক্য সরকার বলেন, গেটে ঢুকতে যাওয়ার সময়ই তৃণমূলের বহিরাগত দুস্কৃতীরা আক্রমন চালায়। ঘটনায় তার নিজের ডান হাত এবং মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে মেটেলি থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালবাজার থানা এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এই মুহুর্তে উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে।
মালবাজার পরিমল মিত্র মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সম্পাদক মৃন্ময় ব্যানার্জি বলেন, ‘কাউকে মারধর করা হয়নি। এবিভিপি বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তাদেরকে আমরা অনুরোধ জানাতে গেলে তারাই মারধর শুরু করে। ঘটনার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ এদিকে কলেজের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক রাজেশ আগরয়াল বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক।এই মুহুর্তে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে গেলেও কলেজের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে কলেজে ছাত্রছাত্রীরা পরিচয়পত্র ছাড়া কলেজে যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য নিষেধাঞ্জা জারি করা হয়েছে। মূলত যাতে কোনও বহিরাগত কলেজে ঢুকে কলেজের পরিস্থিতি অশান্ত করতে না পারে তার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’