মহানগর ওয়েবডেস্ক: এভিবিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয়র আসাকে কেন্দ্র কে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে হয় বিক্ষোভ, দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি বাবুলের জামাও ছেঁড়ে। এই বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় স্বয়ং ক্যাম্পাসে এসে বাবুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তাঁদের গাড়ি ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। এরই মাঝে নতুনভাবে ‘তাণ্ডবলীলায়’ মত্ত হয়েছে এবিভিপি। যাদবপুরে ভাঙচুর শুরু করেছে তারা।
বাবুলকে কেন আটকে রাখা হল, কেনই বা তাঁকে মারা হল, সেই প্রশ্ন তুলে এবিভিপি ও দুর্গাবাহিনীর সমর্থকরা ‘তাণ্ডব’ করেছে ক্যাম্পাসজুড়ে। মাথায় হেলমেট পড়ে তারা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনার আগে অবশ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। কথা বলেন মুখ্যসচিবের সঙ্গেও। যদিও আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলেও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। তবে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে না দিতে অনড়ই রয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ইস্তফা দিতে হলেও দেবেন, কিন্তু ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে দেবেন না।
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের। বাবুল এই গোটা ঘটনার জন্য সরাসরি আঙুল তুলেছেন তাঁর দিকেই। বলেছেন, ‘আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? আমি যখন এলাম, তখন আপনি আসেননি কেন? আপনি এলে এটা ঘটত না।’ সুরঞ্জন দাসের কাছে হাতজোড় করে কিছু বোঝাতেও দেখা যায়।