নিজস্ব প্রতিনিধি: দু’দিন আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা সৌরভ দাস। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন আর এক অভিনেত্রী। নতুন প্রজন্মের ওই অভিনেত্রীর নাম কৌশানী মুখোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সঙ্গে শাসক শিবিরে যোগ দেন ইম্পার কর্মকর্তা পিয়া সেনগুপ্তও। টলিউডের এই দু’জন এদিন তৃণমূলে যোগ দেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে।
শাসক শিবিরের নাম লেখানোর পর কৌশানী বলেন, ‘’আমি একটি দলকে আদর্শ মনে করি সেটি হল তৃণমূল কংগ্রেস। দিদির দেখানো পথেই আমি হাঁটতে চাই। আমার বয়স অল্প। কিন্তু টালিগঞ্জে আমার বেশ কিছু অনুরাগী আছে। আমার তৃণমূলে যোগদান তাদের অনুপ্রাণিত করবে। আমার প্রথম সিনেমার নাম ছিল ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’। তখনই আমি বলে দিয়েছিলাম যে, ‘পারবো আমি দিদিকে ছাড়তে’।‘’
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে পিয়া সেনগুপ্ত বলেন, ‘বাংলায় এক কুৎসিত শক্তি উঠে আসছে। তাঁরা শিল্পীদের সম্মান দিতে জানেন না। এত দিন মূল স্রোতে রাজনীতি করিনি। এ বার করব। আমার মাথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর টলিউডের দিকে নজর দেয়। বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী যোগ দেন শাসক শিবিরে। সেই ধারা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বছর কয়েক আগে যারা তৃণমূল নাম লিখিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন দলবদল করে বিজেপি শিবিরে গিয়েছেন। আবার বেশ কিছু নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রী সরাসরি যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। টলিউডের সিংহভাগ অভিনেতা-অভিনেত্রী এখন তৃণমূল ও বিজেপিতে যোগ দিয়ে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছেন। ভোট যত এগিয়ে আসছে, এই দুই দলে বাকিদের যোগ দেওয়ার প্রবণতা তত বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন তৃণমূল ভবনে এই সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘বিজেপির আমলে গোটা দেশে কোথাও বাকস্বাধীনতা নেই। অনুরাগ কাশ্যপ, নাসিরুদ্দিন শাহদের মতো ব্যক্তিদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পরিচালক-অভিনেতাদের রোজই হেনস্থা করা হচ্ছে। তাই শিল্পীরা বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। রাজ্যের শিল্পীরাও প্রতিবাদে শামিল। তাই সেই শিল্পীরা এখন তৃণমূলকেই একমাত্র ভরসা হিসেবে মনে করছেন।’