নিজস্ব প্রতিবেদক, মুর্শিদাবাদ: ‘ঢালাও মদের লাইসেন্স বিলোচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’ মুকুলের পর এই মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন অধীর চৌধুরী। লালগড়ে অতিরিক্ত মদ্যপানে শবরদের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে মুর্শিদাবাদে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিয়ে বলেন,’নিজেকে উন্নয়ণের পথিকৃত বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে লালগড়ে সাতজন শবরের মৃত্যুর দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন।’ শবররা খাদ্যের অভাবে মারা যায়নি, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে, এই কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী দায় এড়িয়ে যেতে চাইছেন, তিনি দ্বিচারিতা করছেন এই মন্তব্য করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ শানান অধীর চৌধুরী। এদিন অধীর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগ ছুঁড়ে বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মানুষকে মদ খেতে বলছেন, যে কারণে তিনি রাজ্যে ২০০০ মদের দোকানে ঢালাও মদ বিক্রির লাইসেন্স পাইয়ে দিচ্ছেন।
এদিকে মদ খেলে বলছেন, মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে শবরদের। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মদ বিক্রির প্রচার করছেন তার ফল ভোগ করবে আগামি প্রজন্ম। কারণ তাদেরকে সিরোসিস রোগে ভুগতে হবে” বলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী। ”সাতবছর ক্ষমতায় থেকেও নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করছেন না মুখ্যমন্ত্রী। যে লালগড়ে নকশালদের সঙ্গে লড়াই করে তিনি আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, আর ক্ষমতায় এসে সর্বপ্রথম আদিবাসীদের প্রত্যাখান করছেন তিনি, এদিন এই অভিযোগও শোনা গেল অধীরের গলায়।” মুখ্যমন্ত্রী সাম্প্রদায়ীকতার রাজনীতি করছেন বলে এদিন তৃণমূল নেতৃর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তিনি। এদিন মোতুয়াদের বিকাশ পরিষদ তৈরি হওয়া নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে ভোলেন নি অধীর চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ”মোতুয়াদের ভোট দরকার তাই তাদের জন্য বিকাশ পরিষদ তৈরি করা হচ্ছে। \
তাহলে শবর, লোধা তারা যাবে কোথায়।” এদিন শবর, লোধাদের জন্যও বিকাশ পরিষেদর দাবি জানান তিনি। এদিন এনআরসি ইস্যু নিয়ে অধীর বলেন, এনআরসি ইস্যু নিয়ে বাংলা সরকারের কাছে কেন্দ্রের তরফে যে নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল তা দিতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কাজের কাজ না করে সংকীর্ন রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী , এই বলেও এদিন সুর চড়ান অধীর। বাংলার মানুষকে স্বস্তায় চাল গম দেয়না সরকার। স্বস্তার চালের যে টাকা দরিদ্র মানুষ পা তা দেয় দিল্লির সরকার। এদিন অধীর চৌধুরীর কথায় বারে বারে বিজেপির দিকে ঝোঁকার প্রবণতাও দেখা গেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতীত্বের ঢোল বাজাতে বন্ধ করেন অধীর চৌধুরী। গরুপাচারের দায় কেন্দ্রের বিসএফ-এর ওপর চাপিয়ে দিয়ে নিজের চর্যাবত্তি এড়িয়ে যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী, এ বলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন অধীর চৌধুরী।