মহানগর ওয়েবডেস্ক: কিছুদিন আগেও বারবার বলেছিলেন করোনা নিয়ে ভারতে কোনও চিন্তার কিছু নেই। এমনকি আইপিএলের তাঁর প্রভাব যে পড়বে না সেটাও একাধিক বার জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ ৪৮ ঘণ্টায় দ্রুত বদলেছে পরিস্থিতি। ভারতেও ক্রমশ নিজের প্রভাব বিস্তার করছে করোনা ভাইরাস। মৃত্যুও হয়েছে দুইজনের। আর এর পরেই নড়েচড়ে বসলেন মহারাজ। কোনও খেলাই যে মানুষের জীবনের থেকে বড় নয়, সেটা জানিয়েই আইপিএল পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুক্রবার নিয়ে নিলেন তিনি।
আইপিএল যে পিছিয়ে যাচ্ছে তা শুক্রবারই জানানো হয় বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজও। আর সেই প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, ‘মানুষের সুরক্ষা সবার আগে। তাই আমরা সব ধরনের খেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবার দেখা যাক কী হয়।’
উল্লেখ্য, ২৯ মার্চ থেকে ১৩তম আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ফলে শেষমেশ তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নতুন সময়সূচীর কথা জানানোও হয়ে গিয়েছে। সর্বভারতীয় একটি সংবাদসংস্থাকে বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানান, ‘আমরা আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছি।’
কয়েকদিন আগেই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি শুরু করে ভারত সরকার। নতুন করে বিদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এর ফলে আইপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়দের খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিএল স্থগিত থাকার ফলে আপাতত বিদেশি খেলোয়াড়দের ভারতে আসতে কোনও সমস্যা থাকবে না।
শনিবার অর্থাৎ ১৪ মার্চ আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক। ওই বৈঠকে সকল ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকে নতুন করে সময়সূচী তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, আইপিএল পিছিয়ে যাওয়ার ফলে একদিন দুটি করে ম্যাচের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যেতে পারে। এমনকি তখনও যদি পরিস্থিতি সেইভাবে স্বাভাবিক না হয়, তাহলে দর্শকশূন্য অবস্থাতেই এবারের আইপিএল খেলা হতে পারে। তবে সেটা হলে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলি খুশি হবে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু সেই প্রসঙ্গে স্টেপ আউট করে দাদার জবাব, ‘কিছু তো করার নেই। মানুষের জীবন আগে।’