মহানগর ওয়েবডেস্ক: কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি তা সত্বেও মঙ্গলবার ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্রকে না জানিয়ে বর্ধমান রেল ব্রিজের উদ্বোধন করেছিল রাজ্যসরকার। সেই অনুষ্ঠানে কেন্দ্র তো বটেই উপস্থিত ছিলেন না রেলের কোনও আধিকারিকও। রাজ্য সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডে যারপরনাই ক্ষেপে উঠলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। বুধবার সাংবাদিকদের সামনে জানিয়ে দিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র ছাড়াই ব্রিজের ‘উদ্বোধন’ করেছে রাজ্য সরকার। ফলে শনিবার সমস্ত নিয়মমাফিক ফের উদ্বোধন করা হবে ওই ব্রিজের যেখানে উপস্থিত থাকবেন রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে আলুওয়ালিয়া মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন,’ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প সবসময় তাড়াহুড়ো করে উদ্বোধন করে দিচ্ছেন উনি। পানাগড়ে করেছেন। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ৩ মাস পর আবার উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত ফলক সরিয়ে নিজের নামে ফলক বসিয়েছেন। জুলাইমাসে এই ব্রিজ উদ্বোধনের কথা ছিল রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। কিন্তু কাজ বাকি ছিল বলে তা করা হয়নি। এই ফাঁকেই রাজ্যসরকার ব্রিজের ফিটে কেটে ফেলেছে।’
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘এই ব্রিজ তৈরি করার দাবি জানিয়েছিলেন সিপিআইএম-এর সাংসদ সহিদুল হক। ওঁর কথায় ব্রিজের কাজ আরম্ভ হয়েছিল। মমতা বলছেন, ব্রিজের নকশা উনি অনুমোদন করেছেন। উনি ভুলে গিয়েছেন, উনি কবে রেলমন্ত্রী ছিলেন! উনি যে ছবি আঁকেন তা দেখে তো বোঝা যায় না উনি ব্রিজও আঁকেন! এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘উনি কি চান, ব্রিজ ভেঙে বর্ধমানের মানুষ মরুক?’
উল্লেখ্য, বর্ধমান ব্রিজ তৈরিতে কেন্দ্রের চেয়ে বেশি টাকা রাজ্য দিয়েছে এই দাবি তুলে ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ব্রিজের উদ্বোধন করে রাজ্য সরকার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, আর কোনও উদ্বোধন হবে না এটাই আসল উদ্বোধন। যদিও এদিন ওই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আলুওয়ালিয়া জানিয়ে দিলেন উদ্বোধন হবে এবং সেটা শনিবারই হবে।