মহানগর ওয়েবডেস্ক: যাদবপুর ক্যাম্পাসে এবিভিপির নবীন বরণ উৎসব। ও তাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় নিগ্রহ কাণ্ড। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য। তবে ঘটনার কারণ হিসাবে যে যাই বলুন না কেন, মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় একেবারে অন্তরতদন্ত করে খুঁজে বের করলেন যাদবপুরের ছাত্রদের মূল সমস্যা। তাঁর দাবি মতো সেই সমস্যা হল পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্ব। এদিন বেশ স্পষ্ট করেই তথাগত জানিয়ে দিলেন গোটা ঘটনাটাই ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের কারণে। নাম না নিলেও এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুলটা তুললেন তিনি।
যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে বাক্য বাগিসের দল যখন একের পর এক পাল্টা মন্তব্য শানাচ্ছেন। বিজেপি নেতারা যখন বলছেন যাদবপুর দেশদ্রোহিতার আখড়া। ঠিক তখন ছাত্রদের আর গালিগালাজ না করে ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে দুষলেন তথাগত। তার দাবি, ‘গতকাল যাদবপুরে যা ঘটনার ঘটেছে তার পিছনে মূল কারণ বেকারত্ব। ছাত্ররা প্রতিবছর পাশ আউট করছে কিন্তু তাদের চাকরির কোনও আশা নেই। সেই হতাশা থেকেই এই ঘটনা। তবে গতকালের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিল।’ তবে শেষ লগ্নে এসে ঘুরিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘চাকরি না হলেও বাংলায় তেলেভাজা শিল্পটা সবসময়েই আছে।’
As far as I can make out,yesterday’s mayhem was confined to the Arts faculty of Jadavpur University. Most students here have no hope of employment after passing out. Y’day’s show will drive one more nail into the coffin of employment in West Bengal. But there’s always Telebhaja!
— Tathagata Roy (@tathagata2) September 20, 2019
একইসঙ্গে যাদবপুরের ঘটনার জেরে সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্যকেও একহাত নিতে ছাড়েননি তিনি। ঘটনার পরই সুজন চক্রবর্তী টুইট করে লেখেন, ‘ওই দিন বাবুল সুপ্রিয়র ঔদ্ধত্য স্পষ্ট দেখা গিয়েছে কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা বাবুল জানেন না।’ এর পাল্টা দিয়ে সুজনকে আক্রমণ করে তথাগত বলেন, আপনি অর্ধেক সত্য কথা বলছেন। জাতীয়তাবাদ বিরোধী একটি দলকে ধোয়া তুলসিপাতা হিসাবে প্রমাণ করতে চাইছেন। গোটা ঘটনাটা আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি।