মহানগর ওয়েবডেস্ক: ‘যা বিধিনিষেধ রয়েছে সব বিরোধীদের মনে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে সবরকম নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।’ সংবাদমাধ্যম বা রিপোর্ট যাই বলুক না কেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবারও জোর গলায় এমনটাই দাবি করেছেন। বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর আরও তোপ। কাশ্মীর নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। মোদ্দা কথা, নিজেকে ছাড়া বাকি সকল পক্ষের দাবিকেই একপ্রকার ‘মিথ্যে’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, কাশ্মীরের ১৯৬টি থানা এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। মাত্র ৯টি থানায় শুধুমাত্র বড় জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। রবিবার বিকেলে জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ কথা বলেন। অমিতের কথায়, ‘কোথায় কড়াকড়ি রয়েছে, এটা শুধু আপনাদের মনে। কোনও কড়াকড়ি নেই। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শুধুই ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কাশ্মীরের মানুষ যেখানে খুশি যেতে পারছেন। ভারতের যে কোনও জায়গার সাংবাদিক নিয়মিতভাবে কাশ্মীরে যেতে পারেন।’ অমিত শাহ নিজের মুখে এমনটা দাবি করলেও এর সঙ্গে বাস্তবের অনেকটাই ফারাক রয়েছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিনের অনুষ্ঠানে ফের একবার কাশ্মীর সমস্যার জন্য নেহেরুকেই দায়ী করেন অমিত। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যে ভুল করেছিলেন তা হিমালয়ের থেকেও বড় ছিল বলে কটাক্ষ করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সর্দার প্যাটেল ৬৩০ প্রদেশকে একসঙ্গে এনেছিলেন। নেহরুর হাতে একটা কাজ ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতে সংযুক্ত করা। সেই কাজ ২০১৯ সালে করে দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’