নিজস্ব প্রতিবেদক: কলকাতা থেকে মেদিনীপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন অমিত শাহ। অন্যদিকে, নিজের বাড়ি থেকে কালো গাড়িতে করে গেরুয়া টিপ মাথায় নিয়ে গাড়িতে বসলেন শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন তিনি ও।
রাত্রে কলকাতা পৌঁছান অমিত। তাঁকে বরণ করে নেয় বঙ্গ বিজেপি। এর পরে তিনি রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। সকালে তিনি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন এনআইএ- কর্তাদের সঙ্গে। স্বামীজীর বাড়ি পরিদর্শনে যান। তাঁকে বরণ করে নেন অগ্নিমিত্রা পাল। সেখানে শিব পুজো করেন অমিত। সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আমি তো বলেন ‘স্বামীজীর আদর্শ মেনেই চলতে হবে’। ইতিমধ্যে অমিত শাহ চপারে করে মেদিনীপুরের পথে। শুভেন্দুরও গাড়ি ছুটছে মেদিনীপুরের দিকে।
মেদিনীপুর এসে অমিত পরিদর্শন করবেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির। তারপর শহীদ ক্ষুদিরামের মাসি বাড়িতে স্মরণীয় দেশপ্রেমিকের মূর্তি উন্মোচন করবেন। কর্ণগড় মহামায়া মন্দিরে পুজো দেবেন শাহ। মধ্যাহ্নভোজন করবেন শালবনির বালিজুড়ি গ্রামের আদিবাসী দিনমজুর, কৃষক সনাতন সিংহের বাড়িতে।
মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট ময়দানে দুপুর ২.৩০ টায় সভা করবেন অমিত। শুভেন্দু তো দেবেনই, গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন ১ সাংসদ সহ প্রায় ৮ বিধায়ক। এদের মধ্যে তৃণমূলের সঙ্গে বাম শিবির থেকেও রয়েছেন দলেরত্যাগী। সূত্রের খবর, শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে আজ যোগ দেবেন ৫০,০০০ সবুজ শিবিরের কর্মী। সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সৌগত দাবি করেছিলেন, বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর সঙ্গে কথা বলে কান্নাকাটি করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিশ্বজিৎ। অন্যদিকে জ্যোতির্ময় আগেই জানিয়েছিলেন, বিজেপি শিবিরে যোগ দেবেন না বলে। কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি তৃণমূলেই থাকতে চান। এখন দেখার শাহের সভামঞ্চে কতজন যোগ দেয়।