ডেস্ক: বিরোধীদের বিপাকে ফেলার সহজ পন্থা হল, ‘গাঁজা কেস দাও আর জেলে ঢোকাও’। বিরোধীদের মধ্যে সমস্যা তৈরি করার এই সহজ রাস্তা খোদ বীরভূম জেলাসভাপতি অনুব্রতই বাতলে দিয়েছিলেন স্থানীয় পুলিশকে। তবে সেটাই যে বুমেরাং হয়ে কেষ্টর ঘরেই ফিরে আসবে তা বোধহয় ভাবতে পারেননি জেলাসভাপতি। গাঁজা কেস দিয়ে এক দলীয় কর্মীকে জেলে ঢোকানোর অভিযোগে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল।
তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষ্যে ব্লকে ব্লকে সভা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার মুরারই ২ নম্বর ব্লকের পাইকরে এক সভা ছিল জেলা সভাপতির। সেখানে তাঁর হাতে এক রুপোর পাঁচন তুলে দেন ব্লক সভাপতি আফতাবউদ্দিন মল্লিক। একইসঙ্গে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি আসন পাঁচনও। পাঁচন হাতে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে খুশিও হন অনুব্রত। কিন্তু সমস্যা বাধে অন্য যায়গায়। সভা শেষে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী হারু খাঁ অনুব্রতর কাছে অভিযোগ করেন, আফতাবউদ্দিন মল্লিকের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করার জেরে শিসফুল শেখ নামে এক কর্মীকে ভুয়ো গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে জেলে ঢুকিয়েছেন আফতাব। বিগত ১৫ মাস ধরে জেলবন্দী রয়েছেন তিনি। তাঁর অবর্তমানে অর্ধাহারে রয়েছে তাঁর পরিবার। শুধু তাই নয়, শিসফুল শেখের স্ত্রীকেও অনুব্রতর সামনে হাজির করান দলীয় কর্মীরা। গোটা ঘটনায় যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়েন অনুব্রত।
তবে আফতাবউদ্দিন মল্লিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। এদিকে ক্ষোভের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের সামনে অনুব্রত জানান, বিষয়টি তার ঠিক জানা ছিল না। দলের পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্যের কাছ থেকে গোটা বিষয়টির খোঁজ নেবেন তিনি। তারপর প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেবেন। তবে গাঁজা কেস ঘুরে নিজের ঘরে এসে পড়ায় বেশ অস্বস্তিতে অনুব্রত।