ডেস্ক: বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তাঁর প্রতাপ কতখানি এই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না এমন মানুষ কমই আছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর ‘উন্নয়ন’-এর নমুনা দেখেছে সবাই। কেষ্টর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সামনে ধোপে টিকতেই পারবেন না বিরোধীরা। তাই বীরভূমের রাস্তা-ঘাটে চতুর্দিকেই দেখা মিলছেন কেষ্টর ‘উন্নয়ন’-এর। নির্বাচনের আগে যেই সুর ছিল, এখনও একই মেজাজে রয়েছেন। শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে দিলেন, ‘ভোট দিতে গেলেও এবার মানুষ দেখবেন রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে।’
কিন্তু এমন দোর্দণ্ডপ্রতাপ কেষ্ট কি কাউকে ভয় পেতে পারেন? আপাত দৃষ্টিতে না মনে হলেও তিনিও ভয় পান। এদিন সিপিএমের শাসনকালের কথা স্মরণ করে অনুব্রত বলেন, ‘সিপিএমের অত্যাচারের কথা মনে পড়লে ভয়ে ঘরে ঢুকে যাই।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ইদানিং সময়ে বিজেপি যা ভয় দেখাচ্ছে তাতে খুব ভয় লাগছে রাস্তা-ঘাটে বেরোতে।’
অন্যদিকে, কেষ্টর ‘উন্নয়ন’-এর জোয়ারে বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনেই তাঁর দল জয়ী হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির ৪৬৫টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬০টি আসনে ভোটাভুটি হবে। বাকি সবই তৃণমূলের দখলে। বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২,২৪৭টি আসনের মধ্যে ভোট হচ্ছে ১৯৬৭টিতে। বাকি আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।