নিজস্ব প্রতিবেদক, সিউড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার রাজ্যের শাসক দলের জেলা সভাপতি। রবিবার বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমার রাজনগর ব্লকের চন্দ্রপুর এলাকায় দলের এক নির্বাচনী জনসভায় মাওবাদীদের নিয়ে পুলিশকে সতর্ক করে দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন রাজনগরের চন্দ্রপুরে তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা সেলের সভাতে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন নীতিসহ বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদের সমালোচনাও করেন তিনি।
অনুব্রত মণ্ডল এদিনের সভা থেকে বলেন, ‘রাজনগর ও তাঁতিপাড়া এলাকায় ফের মাওবাদী সক্রিয়তা শুরু হয়েছে। আমি চন্দ্রপুর থানার ওসিকে বলছি এই বিষয়ে একটু সতর্ক হতে। ভদ্রলোকের পোশাকে মাওবাদী কার্যকলাপ করছে। তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি। পুলিশ যদি একবার ধরতে পারে তাহলে তোমরা আর বাইরে বেরোতে পারবে না। আমাদের কাছে খবর আছে কে কে এই মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আছে। আমরা সেই নাম দরকার পড়লে পুলিশের হাতে দেবো।’ পাশাপাশি জেলা তৃণমূল সুপ্রিমো বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন,’ও একেবারে মিথ্যাবাদী। দেশে তো অনেক রাজ্যে বিজেপি শাসন করছে। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়। কই সেখানে তো দুই টাকা কেজি চাল সাধারণ মানুষের জন্য দিতে পারেনি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সেই কাজ করে দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ঢাক ঢোল পিটিয়ে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। অথচ তার জন্য মাত্র কয়েকশো কোটি টাকা তাতে বরাদ্দ করেছেন। আর আমাদের রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের কয়েক হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন। সেই সুফল তো গরিব বাড়ির মেয়েরা পাচ্ছে। কই অন্য রাজ্যতো ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সাইকেল দিতে পারেননি। সবুজ সাথী প্রকল্প যেটা আমাদের রাজ্য সাফল্যের সঙ্গে করে দেখিয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে জেলার ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মনোনয়ন দাখিল হবে। বিজেপি অভিযোগ করছে যে মনোনয়নে বাধা পাবে। আরে নাচতে গেলেতো উঠোন ঠিক করতে হয়। উনারা ছাদে নাচ করুন। জেলাতে ৫০ হাজার বিঘা জমিতে জল দিছে বোরো চাষের জন্য সেই জমির আলে ঘাস বিরোধীরা সেই ঘাস কাটুক।’
“