ডেস্ক: নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত আসারাম বাপু। ভারতের ভণ্ডগুরুর তালিকায় বেশ উপরের দিকেই নাম ছিল তাঁর। বুধবার তার বিরুদ্ধে ওঠা ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার রায় দিল যোধপুর বিশেষ আদালত। শুধু আসারাম বাপু নয়, এই মামলায় অভিযুক্ত ছিল ওই ধর্মগুরু সহ পাঁচ জন। যাদের মধ্যে আসারাম বাপুর সহযোগী শিবা ও প্রকাশকে বেকসুর খালাস করে আদালত। এবং শিল্পী, শরৎচন্দ্র সহ ওই স্বগসিত ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বিপুল পরিমান সমর্থকের অন্যতম গুরু এই আসারাম বাপুর রায় দানকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায় তারজন্য চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজস্থান, গুজরাত, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে।
যোধপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার চত্বরে আলাদা করে বিশেষ আদালত বসানো হয় এবং এই আদালতে সাধারণ মানুষের প্রবেশের উপর জারি করা ছিল নিষেধাজ্ঞা। যোধপুরের ডিসিপি আমন দীপ সিং জানিয়েছেন, যাতে কোনও রকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে সেই কারণে যোধপুরে গত ২১ এপ্রিল থেকে জারি করা রয়েছে ১৪৪ ধারা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, আদালতের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অন্তত ১০ বছরের শাস্তি হতে পারে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর।
উল্লেখ্য, যোধপুর আশ্রমে এক কিশোরীকে যৌন নিগ্রহ করার অপরাধে ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে ইন্দোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসারাম বাপুকে। সেখান থেকে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। তখন থেকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালিয়ে ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১০১১ পাতার চার্জশিট পেশ করে যোধপুর পুলিশ। দীর্ঘ ৫ বছর পর এই মামলার দোষী সাব্যস্ত করা হল যোধপুর বিশেষ আদালতে।