ডেস্ক: অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণে পদে বদলির পরই অসন্তুষ্ট হয়ে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি ভারতী ঘোষ। একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভানুধ্যায়ী হিসাবে পরিচিত ভারতীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর ব্যারাকপুরের ব্যাটালিয়নে তাঁকে বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নবান্ন তরফে। কিন্তু সেই পদে যোগ না দিয়ে ছুটিতে চলে যান ভারতী। প্রকাশ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও সময়মতো মুখ খুলবেন বলে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে এসএমএসের মাধ্যমে মুখ খুললেন এই বিদ্রোহী পুলিশ অফিসার।
একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, সোমবার মাঝরাতে কয়েকজন সাংবাদিককে একটি মেসেজ পাঠিয়েছেন ভারতী। তিনি মেসেজে যেই কথাগুলি লিখেছেন তা নীচে তুলে দেওয়া হল…
‘‘আমি জানাতে বাধ্য হলাম যে আজকে দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের এক তৃণমূল নেতা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর অঞ্চলের এক তৃণমূল নেতাকে ফোন করে নির্দেশ দেন যাতে আমাকে একটি মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়…এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার…এই সেই নেতা যিনি সবং নির্বাচনের আগে ও পরে আমার সম্বন্ধে মিথ্যা কথা বাজারে ছড়িয়েছিলেন…এখন একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনলাম…আমি এটুকু আপনাদের জানাচ্ছি, যে যা কেসই হোক না কেন, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হিসেবে আমি কোর্টের কাছে সিবিআই তদন্ত চাইব আর যারা এই ধরনের মিথ্যা কেস করবে, তারা জেল খাটবে।’’
এই মেসেজে কারও নাম না নিলেও তাঁর নিশানায় যে রাজ্যের শাসক দলের কিছু নেতারা রয়েছেন তা কার্যত সাফ হয়ে গিয়েছে। যদিও তিনি কীভাবে সব তথ্য পেলেন এই নিয়ে বিশদে কথা বলতে নারাজ ভারতী। কিন্তু তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগই তুলেছেন এই মেসেজে। একই সঙ্গে যে বা যারা তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তাদেরকেও তিনি রেয়াত করবেন না সেই বার্তাও সাফ দিয়ে দিয়েছেন ভারতী।
উল্লেখ্য, পুলিশ অফিসারের পদ থেকে সাময়িক ছুটি নেওয়ার পরই ভারতীর রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এমন কথাও শুনতে পাওয়া যায় যে, মুকুল রায়ের কাছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ভারতী। যদিও সেই জল্পনার জল বেশিদূর গড়ায় নি। আপাতত নিজের ভাবমূর্তিকে স্বচ্ছ রাখতেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলছেন তিনি।