নিজস্ব প্রতিবেদক, রায়গঞ্জ: বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর শহর সদর শহর রায়গঞ্জ। ফের এদিন সেখানে ফিরে এল পুরনির্বাচনের দিন ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সন্ত্রাসের চিত্র। ঘটনার সুত্রপাত এদিন বেলা ১১টা নাগাদ। অভিযোগ উঠেছে এদিন রায়গঞ্জ বিডিও অফিসে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র তুলতে গেলে শহরের হাসপাতাল মোড়ের কাছে তাদের বাধা দেয় একদল দুষ্কৃতী বাহিনি। বিজেপির অভিযোগ তারা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনী। অভিযোগ, সেই সময়েই ওই মিছিলকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতী বাহিনি। ঘটনার জেরে মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মনোনয়ন পত্র না তুলতে পেরে বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থকেরা বিজেপির জেলা কার্যলয়ের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রায়গঞ্জ শহরের ব্যস্ততম রাস্তা এমজি রোডে প্রায় একঘন্টার অবরোধে ব্যাপক যানজট লেগে যায়। প্রশাসনিক আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নিয়ে ফের মিছিল করে মনোনয়ন পত্র তোলার জন্য মিছিল করে এগোতে থাকে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ এই সময়ে মিছিলকে লক্ষ করে ব্যাপক বোমাবাজি করে শাসকদল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা।
ভোটের আগে উত্তপ্ত বাংলাপ্রকাশ্য দিবালোকে রায়গঞ্জে বোমা-পিস্তল হাতে দাপিয়ে বেড়ালো দুষ্কৃতি বাহিনি
由 Mahanagar24x7 Bengali 发布于 2018年4月4日
শুধু তাই নয় মুড়ি মুড়কির মতো বোমা ফাটানোর পাশাপাশি প্রকাশ্য দিবালোকে পিস্তল নিয়ে একাধিক দুষ্কৃতীকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। পাশাপাশি চলল একাধিক বাড়ি ও দোকানে ব্যাপক হারে ভাঙচুর। গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্যের শাসক দলকেই। সেই সুরে সুর মিলিয়েছে বাম-কংগ্রেস শিবিরও। তাদেরও অভিযোগ বিরোধীহীন বোর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়েই রাজ্যের শাসক দল এভাবে বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করে চলেছে। যদিও বিরোধী শিবিরের এই অভিযোগ নস্যাৎ করে জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য জানিয়েছেন, শহরের বুকে আমজনতার মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতেই বিজেপি ভিন্ন রাজ্য থেকে ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনী এনে বোমাবাজি করছে মুড়ি মুড়কির মতো শূণ্যে গুলি ছুঁড়েছে আর ব্যাপক হারে ভাঙচুর চালিয়েছে। অন্যদিকে শহরের আমজনতার অভিযোগ যারাই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক না কেন তা অত্যন্ত নিন্দানীয় এবং কোনমতেই তা সমর্থন করা যায় না। তাদের অভিযোগ গত বছর রায়গঞ্জের পুরসভা নির্বাচনের দিনও এভাবেই প্রকাশ্য দিবালোকে বোমা-পিস্তল হাতে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল দুষ্কৃতী বাহিনি। এদিন সেই স্মৃতি যেন নতুন করে ফিরল।