মহানগর ওয়েবডেস্ক: কংগ্রেসের সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এই যোগদানের পরেই তাঁর প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কংগ্রেস সমর্থক-কর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, তাদের তরফেই মধ্যপ্রদেশে সিন্ধিয়ার পোস্টারে কালো কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। যে পোস্টারে কালো কালি মাখানো হয়েছে সেই পোস্টার গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়েছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ওপর যে কংগ্রেসীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ তা এই আচরণেই বোঝা যাচ্ছে।
এদিকে, মধ্যপ্রদেশে ফিরে ভোপালে একটি মিছিল করার কথা রয়েছে জ্যোতিরাদিত্যের। রাজ্যের বিজেপির পক্ষ থেকে সেই উপলক্ষে প্রাক্তন কংগ্রেসীর বিশাল বড় বড় পোস্টার টাঙানো হয়েছে। পাশাপাশি, একটি বড় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের জন্য। তার আগেই জ্যোতিরাদিত্যের পোস্টারে কালো কালি লেপে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে বিরোধিতা করে তাঁর পোস্টার গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়ার ঘটনাতেও কৌতূহলের পারদ বেড়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিজেপি সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডার হাত ধরে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। গেরুয়া শিবিরের হাত ধরার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে তুলোধনা করেন কংগ্রসকে। সিন্ধিয়া বলেন, “২০১৮ সালে কংগ্রেস যখন মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠন করল, তখন আমার একটা স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ১৮ মাস পরে কৃষক-সহ কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ হয়নি।” পাশাপাশি কমল নাথ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই সরকারীভাবে ঘোষণা করা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বুধবার বিজেপির তরফ থেকে রাজ্যসভার প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে স্পষ্ট করা হয়েছে সিন্ধিয়ার নাম।
গেরুয়া শিবিরে যোগদান পর্ব সারার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘আমি মাননীয় জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ দেব। আমাকে এই পরিবারে স্থান দেওয়ার জন্য। আমার জীবনে ২ টি তারিখ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০১ এইদিন আমি আমার বাবাকে হারিয়েছিলাম। এবং ১০ মার্চ ২০২০ ওনার ৭৫ তম জন্মদিন ছিল এটি। এই দিন আমার জীবনে নতুন মোড় এসেছে। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত মানুষের সেবা করা। ১৮ বছর কংগ্রেসে থেকে এটাই করেছি আমি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, ওখানে থেকে আমি জনসেবা করতে পারছিলাম না।’