নিজস্ব প্রতিবেদক, কোচবিহার: আশা ছিল হবে বড় মাপের রথযাত্রা। তা উদ্বোধনে আসবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। ভিড় জমাবেন দলের রাজ্যস্তরের নেতা থেকে দলের ভিন্ন রাজ্য মায় কেন্দ্রের নেতারাও। পাশাপাশি তাদের সেই কর্মকাণ্ড দেখতে, নেতাদের বক্তব্য শুনতে, শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অক্সিজেন নিতে ভিড় জমাবেন দলের কর্মী থেকে আমজনতাও। কিন্তু কোথা থেকে কি হয়ে গেল, আদালতের চরকিপাক আর তারপর সেখানকার আমোঘ নির্দেশে না বার হল রথ না হল সভা। চোখের আশা মনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে বয়ে গেল তোর্সার জলে। সেই ধাক্কা কাটানোর আগেই এল দেশের তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের ক্ষমতা হারানোর ধাক্কা। কিন্তু দল তো ধরে রাখতে হবে জেলায়। তাই ক্ষমতা হারানোর দুঃখ ভুলে বুধবার কোচবিহার শহরে বার হল বিজেপির গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদ মিছিল।
বুধবার কোচবিহার শহরের বিজেপি পার্টি অফিস থেকে বার হয় গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে মিছিল। তাতে অংশগ্রহণ করেন দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা, প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন প্রমুখ। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শেষ হয়। সেখানেই উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি বলেন,’রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রতি মুহুর্তে এই রাজ্য আর জেলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে। তারা আমাদের গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রাকে আটকানোর জন্য বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু গণতন্ত্র বাঁচানোর যাত্রা আমরা করবই। আজকের মিছিল তৃণমূলের আক্রমণের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদী মিছিল। গতকাল দেশের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বার হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে আমরা হাতেগোনা কয়েকটা আসনের জন্য ক্ষমতায় ফিরতে পারিনি। অথচ এখানে এই রাজ্যে তৃণমূল এমন লাফালাফি করছে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন।’