নিজস্ব প্রতিবেদক, বারাকপুর: রবিবার রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও তাদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির গরুরফাঁড়ি এবং বালিভাড়া অঞ্চলে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তাদের দলীয় কর্মীদের উপরে হামলা ও মারধর করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজ্যের শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতিরা হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। এদিন বিজেপির সংকল্প যাত্রার মিছিলে যোগ দেওয়ার অপরাধে নৈহাটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের আম্রপল্লি এলাকায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে ব্যাপক মারধোর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দুজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানান বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র।
ফাল্গুনী দেবীর অভিযোগ, ‘নৈহাটিতে বিজেপি দল করা যাবে না বলে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল, আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর হামলা করছে। দুষ্কৃতিরা আমাদের কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে মেরেছে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে আজ আমরা নৈহাটি থানা ঘেরাও করলাম এবং পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা করলাম। পুলিশ আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, আমাদের উপর হামলার ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে।’ যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দলের কেউ রবিবার পথে নামেনি। আমরা বিজেপির কর্মসূচি প্রতিরোধ করিনি। রবিবার পুলিশ ওদের কর্মসূচি আটকেছিল। আমরা রাজনৈতিকভাবে বিজেপির মোকাবিলা করছি। আমরা লাঠি হাতে কেন রাস্তায় নামব? আমাদের দলের কেউ বিজেপি কর্মীদের মেরেছে বলে আমার কাছে খবর নেই।’ এই হামলার বিষয়ে বিজেপির তরফ থেকে নৈহাটি থানায় সোমবার দুপুরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি দলীয় সূত্রের খবর, ‘বিজেপি কর্মীদের উপর মারধর ও হামলার বিষয়টি যথাযথ প্রমাণ সহ নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে।’ জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে নৈহাটি থানার পুলিশ। তবে পুলিশ এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।