মহানগর ডেস্ক: রাত পোহালেই বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। আর সেই ব্রিগেড সমাবেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উপস্থিতি কে ঘিরে তৈরি হচ্ছিল একাধিক জল্পনা। শারীরিক অসুস্থতা সত্বেও ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের অনুমতি না মেলায় ব্রিগেডে উপস্থিত থাকবেন না বলেই জানিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
এদিন সন্ধ্যায় সিপিআইএমের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘শনিবার ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না। মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন আর আমি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মেনে চলেছি। ময়দানে মিটিং চলছে আর আমি গৃহবন্দী যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।’
রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য উপস্থিত না থাকলেও তাঁকে নিয়ে বাম কর্মী সমর্থকদের আবেগ আজও অটুট। তাঁকে একবার অন্তত দেখার জন্য, তাঁর কথা শোনার জন্য আজও উদগ্রীব হয়ে থাকে জনতা। তাই ব্রিগেডের সমাবেশে তাঁকে যাতে ভার্চুয়ালি হাজির করা যায়, তার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না সিপিআইএম নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, ভার্চুয়ালি যদি হাজির নাও হতে পারেন বুদ্ধদেব বাবু, তাহলে তাঁর রেকর্ড করা বক্তব্যও শোনানো হতে পারে।
বুদ্ধবাবুকে শেষবার ব্রিগেডের ময়দানে দেখা গেছিল ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই। প্রবল অসুস্থতা সত্বেও নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখতে পারেননি তিনি। সাদা অ্যাম্বাসেডরে চড়ে শেষ মুহূর্তে ব্রিগেডের মাঠে এসেছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য গাড়ি থেকে নামতে না পেরে অক্সিজেন মাস্ক পরে গাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। তাঁকে দেখতে ব্রিগেডের মাঠ উদ্বেলিত হয়েছিল সেদিন। শারীরিক অসুস্থতা সত্বেও যে মানুষটি ব্রিগেডে উপস্থিত ছিলেন সেদিন, আগামীকাল ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে না পারার মানসিক যন্ত্রনা যে কতখানি, তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না!