ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতেই টানটান উত্তেজনায় রাজনৈতিক মহল। রবিবার বিকেলে নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সপ্তদেশ সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। লাগু হয় আদর্শ আচরণ বিধি। একই সঙ্গে প্রার্থীদের জন্য জারি হয় একাধিক নিয়ম নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে যে ঘোষণা করা হয়েছে তাতে অনেকেই কপালের ভাঁজ চওড়া হতে বাধ্য। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট প্রচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলারও উল্লেখ করে করতে হবে। অর্থাৎ সোজা কথায়, নিজেদের প্রচার করার পাশাপাশি নিজেদের কুকর্মের অভিযোগের খতিয়ানও প্রচার করবেন তারা।
কমিশনের এই নির্দেশিকায় চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন প্রার্থীরা। কারণ টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের মতো প্রচার মাধ্যমে তারা প্রচার করে থাকেন। কিন্তু সেখানে এবার থেকে কমপক্ষে তিনবার নিজেদের মামলাগুলির কথা উল্লেখ করতে হবে প্রত্যেককে। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি দলকেও সতর্ক করা হয়েছে এই বিষয়ে। প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তা দলকেও প্রকাশ্যে আনতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ কেবল ভোটপিপাসুদের ভালো চেহারা দেখে না ভুলে তাদের অন্যদিকটাও দেখতে পারেন। এবং তারপরই ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে যেসব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই, তাদের জন্য এই নির্দেশিকা আশীর্বাদের মতো। কারণ কারোর বিরুদ্ধে যদি এমন মামলার রেকর্ড না থাকে তবে সেই কথাও প্রচারে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। ফলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি যাদের, আলদা করে সুবিধা পাবেন তারাও।
তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে এই নির্দেশিকা গত বছরই জারি হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে তা প্রথমবার লাগু হবে। এর দ্বারা প্রার্থী পদে আবেদন করার সময় একটি ফর্মে সকলকে উল্লেখ করতে হবে-তিনি কোন মামলায় অভিযুক্ত, কোন মামলা চলছে, রায় বেরিয়েছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সমস্ত তথ্য তিনি যেই দলের সদস্য সেই দলের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ পাবে। যদি এই নিয়মের পালন না করা হয় তবে তাদের অনুমোদন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে একটা বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে, এই বিজ্ঞাপনের খরচ প্রার্থীকে বহন করতে হবে কিনা সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দেয়নি কমিশন।