ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার গঙ্গার এপাড় ও ওপাড় মিলিয়ে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগেই চতুর্থ দফার ভোট নিয়ে গম্ভীর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, চতুর্থ দফায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা ভোট পরিচালনা করা হবে। রাজ্য পুলিশের কোনও বাহিনী ব্যবহার করা হবে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে। পুরো ভোটগ্রহণ পর্বই হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে।
আজ থেকে ঠিক সাতদিন পর অর্থাৎ আগামী সোমবার চতুর্থ দফার ভোট। আসানসোলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিনই সেখানে গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। সার্বিক অবস্থা দেখে ও বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে অজয় জানিয়ে দেন, আসানসোলের সব বুথই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা থাকবে। রাজ্যের কোনও বাহিনী ব্যবহার করা হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে রাজ্যের যে দুটি আসনে বিজেপি জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল তার মধ্যে একটি হল আসানসোল। এখানকার সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ থাকলেও নিজের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির জয়ী আসন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে দেওয়ার পিছনেও রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে শাসকদল।
দ্বিতীয় দফা ভোটের পরও বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটায় অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশি পরিমাণে মোতায়েন নিয়ে আগেই সতর্ক হয়েছে কমিশন। দিনদুয়েক আগেই কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, তৃতীয় দফার ভোটে ৯২ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও আসানসোলে কেন সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে, সেই প্রশ্নও উঠে আসছে। বলাই বাহুল্য, এর পিছনে রাজনৈতিক পক্ষপাত দেখছে শাসকদল। বিশেষত অজয় নায়েকের বাংলাকে ১০ বছর আগের বিহারের সঙ্গে তুলনার বিষয়টি একেবারেই ইতিবাচক ভাবে নেয়নি তৃণমূল শিবির। এই সিদ্ধান্তও যে মোটেই তাদের খুশি করবে না, তা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।