ডেস্ক: বিহারে বিজেপি বিরোধীতার অন্যতম মুখ আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। বিজেপির দাবার চালে বিহারে ঘর ভেঙেছে তাঁর। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় এখন জেলবন্দীও তিনি। এর পিছনেও বিজেপি গন্ধ পেয়েছেন আরজেডির নেতা নেত্রীরা। রাজনৈতিক কূটচালে কোনঠাসা সেই লালুর সঙ্গে এবার সাক্ষাৎ করতে গেলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা। বলা বাহুল্য তাঁর এই সাক্ষাৎ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হল ব্যাপক জল্পনা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি তলে তলে বিরোধী শিবিরে নিজেদের পা কিছুটা বাড়িয়ে রাখছেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা।
এনডিএর শরিক দল বিহারের রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি। এই দলেরই সুপ্রিমো উপেন্দ্র কুশওয়াহা। অতীতে রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেলেও, বিহারে জেডিইউ আরজেডির সঙ্গ ত্যাগের পর সেভাবে কাছাকাছি আসতে দেখা যায়নি উপেন্দ্র কুশওয়াহা ও লালুপ্রসাদ যাদবকে। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব। সেখানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দীর্ঘক্ষন কথাবার্তা হয় একে অপরের সঙ্গে। দুজনের এই আলাপচারিতা নিয়ে জল্পনা এমনই তুঙ্গে উঠেছে যে কুশওয়াহাকে হুঁশিয়ারিও দিয়ে ফেলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এই ঘটনার পর অমিত শাহ দেখা করেন কুশওয়াহার সঙ্গে সেখানে তাঁকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে কোনও রকম দুর্ব্যবহার সহ্য করা হবে না।
অন্যদিকে, লালুর দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য বিমানের বদলে ট্রেন যাত্রাকে নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রবল লালু বিরোধী হলেও ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী সরযূ রায় ক্ষোভের সুরে বলেছেন, ‘লালুকে ট্রেনে নয়, বিমানে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।’ বিমানের খরচও দিতে চেয়েছিলেন লালু। নিজেদের ক্ষোভ উগরে লালু ভক্তরা জানিয়েছেন, ‘ধর্ষক–খুনি রাম রহিমের জন্য কপ্টার, আর জননেতার জন্য ১৬ ঘণ্টার ট্রেন–সফর! বিজেপি এর জবাব পাবে।’