মহানগর ওয়েবডেস্ক: বিক্রমের কোনও খোঁজ নেই। হয়ত সে চাঁদের কোনও অন্ধকার কুহরে গভীর ঘুমে আছন্ন। যে ঘুম আর ভাঙবে না কোনও দিন। তবে যে নেই তাকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকার কোনও মানে হয় না। নব উদ্যমে ফের চন্দ্র গবেষণায় উঠেপড়ে লেগেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ইসরো থেমে থাকার পাত্র নয়। বৃহস্পতিবার সেই আভাষ দিয়ে ইসরো কর্তা কে শিবন জানিয়ে দিলেন, চাঁদের কক্ষপথে আশানুরূপ কাজ করছে চন্দ্রযান-২ অরবিটার। যতটা আমরা ভেবেছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশি কাজ করছে অরবিটার।
পাশাপাশি, বিক্রমের ব্যর্থতা ইসরোকে যে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শিবন জানালেন, বিক্রমের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও সিগন্যাল আমরা পাইনি। একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় দল বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছে ল্যান্ডার চাঁদের মাটিতে নামার মুহূর্তে ঠিক কোথায় সমস্যা হয়েছিল। ওই কমিটির রিপোর্ট হাতে আসার পর চন্দ্র অভিযান নিয়ে ভবিষ্যতের ভাবনা শুরু করবে ভারতের মহাকাস গবেষণা সংস্থা। বৃহস্পতিবার ভুবেনশ্বরে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কে শিবন আরও জানান, ‘আমাদের আগামী লক্ষ্যের জন্য কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সব কিছুর আগে আমাদের লক্ষ্য এখন সেই রহস্য খুঁজে বের করা যার জন্য চাঁদের মাটিতে বিক্রম হারিয়ে গেল।’
উল্লেখ্য, চন্দ্রযান-২ মিশন নিয়ে শিবনের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই অভিযান ৯৮ শতাংশ সফল। এবং ইসরোর আগামী লক্ষ্য ‘গগণায়ন মিশন’। তবে তার আগে ল্যান্ডার বিক্রমের থেকে বিপর্যয়ের রহস্যটা খুঁজে পাওয়া জরুরী। সেটা পেয়ে গেলেই আগামী লড়াইটা সহজ হয়ে যাবে। তবে আপাতত চন্দ্রযান-২ অরবিটারের কাজে বেশ খুশি ইসরো।si