নিজস্ব প্রতিবেদক, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত লিলুয়া বাঁধের ছেলেধরা সন্দেহে চলল বেদম প্রহার। গণ পিটুনি নিয়ে আইন আসবে। আসেনিতো তাই সন্দেহের বশেই মার। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। শুরু হয় পুলিশ- জনতা বচসা, ধস্তাধস্তি, থানার এক আধিকারিক সামান্য আক্রান্ত হন, পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যে নাগাদ। এইদিন অচেনা মুখের এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় লিলুয়া বাঁধের বাসিন্দারা ধরে ফেলে তাঁকে,চলে গণপিটুনি। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে গুরুতর জখম ব্যক্তিকে কোকওভেন থানার পুলিশ উদ্ধার করতে গিয়ে জনতার রোষের মুখে পড়ে, হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয় লিলুয়া বাঁধের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোনোক্রমে পুলিশ জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যোগেশ্বর প্যাটেল নামে গুরুতর জখম ব্যক্তি পাঞ্জাবে থাকে বলে জানিয়েছেন। এইদিকে এই ঘটনার জেরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, অযথা গুজবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যাতে করে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়েছে। পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে কিন্তু অচেনা কাউকে বা সন্দেহভাজন কাঊকে দেখলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হোক কিন্তু আইন নিজেদের হাতে না তোলার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। স্রেফ সন্দেহের বশে গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনায় কোকওভেন থানার পুলিশ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করায় এখন স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন এভাবে প্রশাসনিক কড়া বার্তায় গণপিটুনির ঘটনা কমবে।