মহানগর ওয়েবডেস্ক: দুই দেশের ভাতৃত্বের সম্পর্ক ঘুচেছে অনেককাল আগেই। সম্প্রতি তা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও চিনের আগ্রাসন নীতি নতুন করে প্রভাব ফেলেছে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কে। তৈরি হয়েছে যুদ্ধের বাতাবরণ। তবে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করল না প্রতিবেশী চিন। ভারত সরকার ও ভারতের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাতে হাত রেখে চলার বার্তা দিল ড্রাগন দেশ। ক্রমশ বাড়তে থাকা তিক্ততার সম্পর্কে এই শুভেচ্ছা অনেকটা মিছরির দানার মতো। তবে চিনের শুভেচ্ছার পাল্টা ধন্যবাদ দিলেও গলে গিয়ে সুবিধাবাদী চিনের সঙ্গে গলাগলিতে নারাজ ভারত।
করোনা পরিস্থিতির মাঝেই শনিবার ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস পালন হচ্ছে ভারতে। দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই ভারতকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছে রাশিয়া, আমেরিকার মতো বিশ্বের একাধিক দেশ। সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও এদিন ভারতকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করল না চিন প্রশাসন। শনিবার ভারতে অবস্থিত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতকে শুভেচ্ছা জানালেন ৭৪ তম স্বাধীনতার। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারত সরকার ও ভারতের জনগণকে অনেক শুভেচ্ছা। আশা রাখি প্রাচীন সভ্যতার ঐতিহ্যশালী দুটি মহান দেশ ভারত এবং চীন পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে একত্রে শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।’
তবে চিনের রাষ্ট্রদূতের তরফে এদিন ভারত সরকারকে শুভেচ্ছা জানালেও, লালকেল্লার মঞ্চ থেকে নাম না করে চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলওসি হোক কী এলএসি, ভারতকে যারা চ্যালেঞ্জ করবে তাদের সেনাবাহিনীর ঠিক উত্তর দিয়ে দেবে। অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতকে যখন যারাই চ্যালেঞ্জ করেছে, তারা ঠিক যোগ্য জবাব পেয়েছেন। যারা ঠিক যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই তাদের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি যে নাম না করে পাকিস্তান এবং চিনকে আক্রমণ করলেন তা বলাই বাহুল্য। কারণ, জম্মু কাশ্মীর সীমান্তে ক্রমাগত পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর চেষ্টা করে চলেছে। ওদিকে, লাদাখ সীমান্তে চীনের আগ্রাসনের কথাও সকলে জানেন।