কোচবিহার: ধান কেনার দিক দিয়ে কোচবিহার জেলা অনেকটা পিছিয়ে রয়ছে। ধান কেনার গতি বাড়াতে হবে। মঙ্গলবার কোচবিহারে এসে এমনটাই বললেন রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একই সঙ্গে তিনি কোচবিহার জেলার সাবেক ছিট মহল, চা বাগানে রেশন এবং ধানের টার্গেট ফুল ফিল করতে এই জেলায় আলাদা করে এক আধিকারিক বসানোর কথাও বলেন।
মঙ্গলবার কোচবিহারে আসেন রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেখানে জেলা শাসকের দফতরের ল্যান্সডাউন হলে ধান কেনা থেকে শুরু করে খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনিক আধিকারি সহ রাইস মিলের মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়করা। বৈঠকে জেলার ধান কেনা নিয়ে যে ট্রাগেট দেওয়া হয়েছিল, সেটা পুরন না হওয়ায় আধিকারিকদের সবাল জবাব করতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয়বাবুকে। সেইসঙ্গে যে সমস্ত ডিলাররা নিম্ন মানের চাল তেল সরবরাহ করেছেন তাদের সতর্ক করেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে তিনি বলেন, কোচবিহার জেলা বর্তমানে ধান কেনায় অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত যা টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখনও মাত্র ৬০% হয়েছে। তাই ধান কেনার অগ্রগতি বাড়াতে সেলফেল গ্রুপের মহিলাদের কাজে লাগানর কথাও জানান তিনি। সমস্ত ব্লকের এই সেলফেল গ্রুপের মহিলারা কাজ করবে। সেইসঙ্গে এই জেলায় যে চা বাগান রয়েছে, সেই বাগানের ৬৫জন মানুষকে ২টাকা কেজি চাল আটা দেওয়া কথা বলেন তিনি।
এছাড়া কোচবিহার জেলায় যে ছিটমহলগুলি রয়েছে সেখানকার মানুষকে সাহায্যের জন্য প্রসাসনিক আধিকারিকদের জ্যোতিপ্রিয় বলেন, সেখানে ১৫হাজার রেশনকার্ড দেওয়া হয়েছে। কিছুটা বাকি রইলেও সেগুলো আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া প্রশাসনিক আধিকারিকদের তিনি বলেন, সমস্ত বিষয়ের খোজ খবর নেওয়ার জন্য আগামী ১ মাসে মধ্যে আবার এখানে আসবেন তিনি। সেইসঙ্গে কোচবিহার জেলা সহ আলিপুরদুয়ার ও জলাপাইগুড়ি তিনটি জেলাকে ধান কেনার গতি বাড়াতে যাযা করার দরকার তিনি করবে। এদিনের বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রী ছাড়াও উত্তরবঙ্গ উনয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ , রাজ্যের বন মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ, সাংসদ পার্থ প্রতিম রায় সহ উপস্থিত ছিলেন সরকারী আধিকারিকরা।