মহানগর ওয়েবডেস্ক: কড়া সতর্কতা, পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের একের পর এক উদ্যোগ, তবে কোনও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মারণ করোনা ভাইরাসকে। শনিবার পর্যন্ত যে সংখ্যাটা ছিল ৮৪, রবিবার সকাল পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবরে সেই সংখ্যাটাই দাঁড়িয়েছে ১০৭। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে তা অস্বীকার করছে না কোনও পক্ষই।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন মহারাষ্ট্রে। শুক্রবার পর্যন্ত এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯ জন। সেটাই একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। এর ঠিক পরেই রয়েছে কেরল। সেখানে মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ জন। এছাড়াও, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলিতে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে কর্ণাটক ও দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। পরিস্থিতির জেরে শনিবার করোনাকে ‘নোটিফায়েড ডিজাস্টার’ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নজর রাখা হচ্ছে গোটা পরিস্থিতির উপর।
পাশাপাশি, করোনা যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে রাজ্যগুলি। দেশের ৫ টি রাজ্যে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে সিনেমাহল ও জিম। যে কোনও রকম জমায়েতের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পশ্চিমবঙ্গেও সোমবার থেকে সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। বন্ধ রয়েছে সায়েন্স সিটি ও জাদু ঘরের মতো দর্শনীয় স্থানগুলি।
অন্যদিকে, ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যৌথভাবে ঠেকাতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বিশদ আলোচনার জন্য সার্ক (সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আবেদনে একে একে সারা দেন সব দেশের শীর্ষনেতারা। আজ, রবিবার করোনা রুখতে এই জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন সার্ক রাষ্ট্রনেতারা। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক আজ হবে।