নিজস্ব প্রতিবেদক, বারুইপুর: সোনারপুরে ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতা খুনের কিনারা করল পুলিশ। খুনের অভিযোগে নিহত সমীর মিস্ত্রির স্ত্রী মধুমিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত মধুমিতার প্রেমিক চন্দন মণ্ডলও। পুলিশ সূত্রে খবর, রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে সমীর মিস্ত্রিকে এমনটাই
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দেড় বছর ধরে চন্দনের সঙ্গে সম্পর্ক মধুমিতার। সোনারপুর স্টেশনে সংবাদপত্র বিক্রি করে চন্দন। মধুমিতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্টিনে কাজ করে। সেখান থেকে মধুমিতা ও চন্দনের মধ্যে আলাপ হয়। চন্দনের বাড়ি ক্ষুদিরামপল্লির বাগুইপাড়াতে। মধুমিতার স্বামী চন্দনের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানত। সেই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলাও হত। মারধরও করত মধুমিতাকে। মধুমিতার মেয়েও এই সম্পর্কের কথা জানত। ডিভোর্সের জন্য চাপ দিত চন্দন। কিন্তু আইনি জটে আটকে যায় ডিভোর্সের মামলা। এরপরই সমীরকে রাস্তা থেকে সরাতে খুনের ছক কষে চন্দন। পরিকল্পনার কথা জানায় মধুমিতাকে। মধুমিতার কললিস্ট থেকে চন্দনের নম্বর পায় পুলিশ। সন্দেহ হওয়ায় দু’জনকে জেরা করতেই বেড়িয়ে আসে আসল তথ্য।
পুলিশকে মধুমিতা জানায়, ঘটনার দিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় দরজা বন্ধ করে দেয় ছেলে। কিন্তু চন্দনের পরিকল্পনা মতো ফের দরজা খুলে দেয় সে। সেইসময় চন্দন ঘরে ঢুকে সমীর মিস্ত্রিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। সেই ঘটনায় গতকাল রাতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। আজ ধৃতদের বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।