ডেস্ক: মাইকেলের পর এবার মালিয়ার পালা। সোমবার থেকেই শুরু হতে চলেছে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়ার প্রত্যার্পণ মামলার শুনানি। ২০১৬ সালে ৯ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল এই শিল্পপতির বিরুদ্ধে। ব্যঙ্কের তরফ থেকে সেই টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হলেই দেশ ছেড়ে লণ্ডনে পালিয়ে যান তিনি। এবার লণ্ডনের বিশেষ আদালতেই চলবে এই শুনানি। এই কারণে লণ্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন সিবিআই ও ইডির বিশেষ দল। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর এ সাই মনোহর।
মামলার রায়ে বিজয় মালিয়ার উপর যদি ভারতে প্রত্যার্পণের নির্দেশ জারি করা হয় তবে সেক্ষেত্রে তাঁর উচ্চ আদালতে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকবে। আর রায় যদি ভারতের বিপরীতে যায় সেক্ষেত্রে সিবিআই এবং ইডি কর্তারা ১৪ দিনের মধ্যে পুনরায় আপিল জানাতে পারবে। উল্লেখ্য, বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকেই তাকে দেশে ফেরানোর অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি একটি ট্যুইটে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি ১০০ শতাংশ টাকা ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত আছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে টাকা চুরির যে অভিযোগ উঠছে তা যেন বন্ধ করা হয়। মালিয়া আরও জানান, তিনি একটা টাকাও ধার করেননি। তাঁর কোম্পানি কিংফিশার এয়ারলাইনস ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল। তার গ্যারান্টার হওয়াটা কোনও অপরাধের নয়। অন্যদিকে মালিয়ার তরফের উকিলের বক্তব্য। তিনি বহু আগেই মূল টাকার ৮০ শতাংশ ব্যাঙ্কে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাঙ্কের তরফে সেই সময় কিছু জানানো হয়নি এবং তাকে দেশে ফেরানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, এই বিজয় মালিয়ার পর থেকেই একে একে তাবড় তাবড় শিল্পপতিরা বড় অংকের টাকার ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী এবং তাঁর কাকা মেহুল চোকসি। এই ঘটনার পর স্বভাবতই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে কম কাদা ছোড়াছুড়ি করেনি।