মহানগর ওয়েবডেস্ক: আজ পেহলু খান লিঞ্চিং মামলার রায় ঘোষণা করবতে চলেছেন রাজস্থানের আলওয়ার জেলার অতিরিক্ত জেলা বিচারক। ইতিমধ্যেই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারকের কাছে ৪০ জনেরও বেশি সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে পেহলু খানের দুই ছেলেও রয়েছেন। ঘটনার দিন তাঁরা বাবার সঙ্গেই ছিলেন।
২০১৭ সালের ১ এপ্রিল রাজস্থানের দিল্লি-আলওয়ার হাইওয়ের উপর বেহরোর কাছে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হাতে আক্রান্ত হন পেহলু খান। হরিয়ানার নুহর বাসিন্দা পেহলুকে ওই দিন নৃশংস ভাবে পেটানো হয়। ঘটনার দু-দিন পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় হরিয়ানার ওই ব্যক্তির। রাজস্থানের আইন অনুযায়ী, উল্টে গোরু পাচারের অভিযোগে পেহলু শেখের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করে পুলিশ। একই অভিযোগে পেহলুর দুই ছেলে ইরশাদ ও আরিফের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দেয় পুলিশ। যদিও, পেহলুর পরিবার দাবি করে, গোরু পাচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই দিন জয়পুরের গৃহপালিত পশুমেলা থেকে গোরু কিনে হরিয়ানা ফিরছিলেন পেহলু খান। তাঁর সঙ্গে আরও ৬ জন ছিলেন। অভিযোগ, মেলা থেকে গোরু কেনার বিল দেখানো সত্ত্বেও পেহলু নিস্তার পাননি। কোনও কথা না-শুনে গোরক্ষকরা তাঁকে নৃশংস ভাবে পেটায়।
পেহলু খানের মৃত্যুর পর সারা দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়৷ পেহলু খান ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ৷ এই নিয়ে সমালোচনা হলে বর্তমান সরকার বলে, মামলা করেছে আগের সরকার৷ তারা তদন্ত করে দেখবে৷ টানা ২ বছর চলে বিচার প্রক্রিয়া৷ ঘটনায় নিহত ২ ব্যক্তির সন্তান সহ ৪০ জন এই মামলায় সাক্ষ্যদান করেছেন৷ আজ বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা হবে৷