ডেস্ক: সান্দাকাফুতে বরফ ঝরেছে দিন কয়েক আগেই। কিন্তু তার রেশ ছিঁটেফোটাও পড়েনি সমতলের আবহাওয়ায়। তা সে শিলিগুড়ি হোক কি কলকাতা। ক্রমশই চড়ে চলেছে পারদ। তারওপর আবহাওয়াবিদরাও জানিয়ে দিয়েছেন চলতি মরশুমে চাঁদিফাটা গরম পড়বে গোটা বাংলা জুড়েই। আর গরম পড়লেই বাঙালি যে পাহাড়মুখী হবে সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত বছর বাংলার মানুষ সাক্ষী থেকেছে পাহাড়ে টানা ১০৫ দিনের বনধ, হিংসাত্বক আন্দোলন আর মৃত্যু মিছিলের। সে সব কিছু কাটিয়ে পাহাড়ের মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইছে। হিমালয়ের রানীও তার অপার সৌন্দর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীও এই সময় পাহাড়ে গিয়েছেন হিল বিজনেস সামিটে যোগদান করতে।
ঠিক এইরকম একটা অবস্থায় খুশির খবর বয়ে নিয়ে এল সান্দাকাফুর তুষারপাত। গতকাল থেকেই দলে দলে সমতলের মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে সান্দাকাফুর পথে, যদি ফের তুষারপাতের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়, এই আশা নিয়ে। পাশাপাশি খুশীর খবর শোনাল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলও। পাহাড়ের টয়ট্রেন যা দার্জিলিং হিমালায়ন রেলওয়ে নামে খ্যাত ও যা ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্য তালিকাভুক্ত সেই টয়ট্রেনে এবার জুড়তে চলেছে বাতানুকূল কামরা। জয়রাইড হোক কি শিলিগুড়ি জংশন থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত নর্মাল রাইড এবার টয়ট্রেনের সব রেকেই জুড়ে দেওয়া হবে বাতানুকূল কামরা। তার জন্য বাড়তি কিছু কড়ি উৎসাহী পর্যটকদের গুনতে হলেও তার দাম এত বেশি রাখা হবে না যে তা মধ্যবিত্ত মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার পাশাপাশি শতাব্দী প্রাচীন টয় ট্রেনের সফরে নষ্টালজিয়াকে উপভোগ করতে চাইতেন দেশি-বিদেশী পর্যটকেরা। কিন্তু কিছুটা হলেও ট্রেনের ধীর গতির জন্য তারা ঠান্ডার আমেজ ঠিক ভাবে নিতে পারতেন না। তাদের কথা ভেবেই মূলত বাতানুকূল কামরা জোড়ার সিদ্ধান্ত। তবে এই সিদ্ধান্ত দেশের নবীন প্রজন্মের পাশাপাশি বিত্তবান পর্যটকদের পছন্দ হবে বলেই তারা মনে করেন। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মরশুমেই পর্যটকেরা টয় ট্রেনে বাতানুকূল কামরার মজা নিতে পারবেন। উল্লেখ্য হিমাচল প্রদেশের সিমলা-কালকা রেলপথে অনেক দিন আগেই বাতানুকূল কামরা চালু করে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই একই সুবিধা পাওয়া যাবে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েতেও।