ডেস্ক: কাজের কোনও খামতি নেই, কিন্তু মাসের শেষে মিলছে না বেতন৷ বছরের পর বছর এরকম ‘মা দেখা দে, নয় টাকা দে’-এর মতো অবস্থায় পাস গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা৷ অবশেষে, আর কোনও পথ না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রায় ৫১ জন পাস গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক৷ কাল অর্থাত ১ ফেব্রুয়ারি ছিল সেই মামলার শুনানি৷
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের এই ৫১ জন পাস গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের দাবি, কেরিয়ার অ্যাডভান্স স্কিম ফেসিলিটি অনুয়ায়ী প্রোমোশন না পেলেও ৮, ১৬ এবং ২৫ বছর পর হায়ার পে স্কেল ও হায়ার গ্রেড পে দেওয়া হয়। কিন্তু বছর পেরিয়েও স্কুলগুলিতে শুধুমাত্র গ্রেড পে বেড়েছে। বাকি কোনও লাভই হয়নি তাদের৷ এই ইস্যু নিয়েই সরব হয় তারা৷ বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় শেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এই শিক্ষকরা৷ তাদের প্রশ্ন, অন্য শিক্ষকদের মতো একইভাবে কাজ করতে হয়, তবুও বেতন বৈষম্য কেন?
আদালতে প্রধান বিচারপতি মামলাকারীদের আইনজীবীকে রাজ্যের এজি কিশোর দত্তকে মামলার ব্যাপারে অবগত করানোর নির্দেশ দেন, এবং পরবর্তী শুনানিতে এজি কিশোর দত্তকে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী৷