নিজস্ব প্রতিবেদক, নদিয়া: মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই বাংলার গণতন্ত্র আজ পদদলিত। তিনিই বলতেন বদলা নয় বদল চাই আজ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েতের ডাক দিচ্ছেন। রবিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
এদিন বিজেপির জেলা কার্যালয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নদিয়া জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য কেষ্ট পাল বিজেপিতে যোগ দেন। কেষ্ট পালের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, ‘বাংলায় গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হচ্ছে। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছেনা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে তার চেয়ারে বসে বলছেন বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েত চাই।’ মুকুল রায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আমার কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা বুথ আগলে মনোনয়ন জমা দেবার জন্য লড়াই করেছে বলে। পশ্চিম বাংলার বুকে তৃণমূল কংগ্রেসকে রোখার ক্ষমতা একমাত্র বিজেপিরই আছে বলে জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে মুকুল আরও বলেন, মমতা এখন প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখছেন। যিনি রাজ্যকে সামলাতে পারেন না তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা ভবিষ্যত সম্পর্কে মুকুল বলেন, আগামী লোকসভায় তৃণমূল ৪৪ টির বেশি প্রার্থী দিতে পারবে না। বাংলায় ২টি উপনির্বাচনে বিজেপি খারাপ ফল করেছে বলে উনি লাফিয়ে উঠছেন। তৃণমূল সরকারের ৫ বছর কেটেছে কিন্তু সাত বছর কাটবে না, লোকসভার পরেই বিদায় নেবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে আগাম পূর্বাভাষ দেন মুকুল রায়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সম্পর্কে মুকুলবাবু বলেন, গণতন্ত্রকে কিছুদিনের জন্য চেপে রাখা যায় সারা জীবনের জন্য নয়। বামফ্রন্ট ৩৪ বছরের বেশি পারেনি, তৃণমূলও ৬ বছরের বেশি পারবে না বলে জানান তিনি।