ডেস্ক: মালদ্বীপের অশান্ত পরিস্থিতির ফায়দা তুলে ক্রমশ সেখানে নিজেদের নৈকট্য বাড়াচ্ছে চিন। ড্রাগনের দেশের এই বেপরোয়া হস্তক্ষেপের ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিনের এই কার্যকলাপ চিন্তায় রেখেছে ভারতকেও। এই পরিস্থিতিতে পেন্টাগনের তরফ থেকে শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, চিনের এই কার্যকলাপ আমেরিকার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
চিনের এই দাদাগিরি মার্কা মনোভাব নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ভারতও। তাই মালদ্বীপের সংকটের মোকাবিলা করতে ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়েই কাজ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে পেন্টাগন। ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক জোই ফেল্টর জানান, ‘মালদ্বীপের পরিস্থিতি আমেরিকার মতই ভারতের জন্যও উদ্বেগজনক। আমাদের এখন দেখতে হবে একসঙ্গে কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়। বিষয়টির উপর আমাদের তীক্ষ্ণ নজর থাকবে।’ তিনি এও জানিয়ে দেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ের নিয়মের জন্যই চিনের হস্তক্ষেপ নিয়ে এখনও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে আমেরিকা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মালদ্বীপের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন জরুরি অবস্থা জারি থাকার ফলে সেখানে ভারতীয় সেনা মোতায়েন করারও প্রসঙ্গ ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অন্যদিকে, এই অবস্থার ফায়দা তুলতে তখন থেকেই বিভিন্ন উপায়ে মালদ্বীপের সঙ্গে নৈকট্য বাড়িয়ে চলেছে চিন। কখনও অর্থ, কখনও বা অস্ত্রশস্ত্রের লাগাতার সরবরাহ করা হয়েছে চিনের পক্ষ থেকে। ফলে ভারত-আমেরিকাকে দূরে সরিয়ে চিনকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মালদ্বীপ।