মহানগর ওয়েবডেস্ক: সেই লাল ডায়েরি, যার কথা মাঝে মাঝেই উঠে এসেছে সারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনার জবানিতে। সেই ডায়েরি নাকি বিধাননগর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন সারদাকর্তা। যদিও সিটের হাত ঘুরে তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে এলে আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি লাল ডায়েরির। শনিবার সিবিআই জেরার দেবযানীর মুখে উঠে এল সেই লাল ডায়েরির কথা। এদিন সিবিআইয়ের কাছে লাল ডায়েরির গূঢ় রহস্য ফাঁস করলেন সারদার সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।
এদিন সিবিআইয়ের জেরার মুখে দেবযানী জানান, বিধাননগর কমিশনারেটের তত্কালীন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে সারদার সব নথি নিজের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। যেখানে লাল ডায়েরিও ছিল। আর সেই ডায়েরিতে ছিল ফি মাসে থানায় ও পুলিশ কর্তাদের কত টাকা করে পাঠাত সারদা। ডায়েরি না পেলেও পুরানো স্মৃতির ভিত্তিতে দেবযানী জানান, প্রতি মাসে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ১০ হাজার টাকা করে দিত সারদা। বেহালা ও বিষ্ণুপুর থানায় টাকার অঙ্কটা ছিল অনেক বেশি মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে যেত এই দুই থানায়। এছাড়াও ওই খাতায় ছিল আরও একাধিক থানায় দেওয়া টাকার মাসিক হিসেব। তবে শুধু থানা নয়, থানার পাশাপাশি পুলিশ কর্তাদের জন্যও মাসিক মাসোয়ারা যেত সারদা থেকে। মাসে প্রায় ৮ লাখ করে যেত পুলিশ কর্তাদের খুশি রাখতে। সব মিলিয়ে ওই লাল ডায়েরি ছিল সারদার রোজকার হিসাবের একটি খাতা।
দেবযানীর দাবি, এই লাল ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছিল বিধাননগর পুলিশ। কিন্তু মামলা সিবিআইয়ের হাতে উঠলেও লাল ডায়েরি সিবিআইকে আর দেয়নি পুলিশ। শুধু তাই নয়, নথিপত্র গুলিও ঝাড়াই বাছাই করে গুরুত্বহীন নথিগুলিই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। যার জেরে পদে পদে ব্যহত হয় তদন্ত প্রক্রিয়া। গোটা ঘটনার জেরেই সিবিআইয়ের তরফে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে সিবিআইয়ের চোখে ধুলো দিয়ে আপাতত বেপাত্তা তিনি।