মহানগর ওয়েবডেস্ক: সাবেকিয়ানা এই পুজোর পরতে পরতে৷ দেবী প্রতিমা থেকে পুজোর আচার সবেতেই ঐতিহ্যের ছোঁয়া৷ সাধারণত মা দুর্গার দশভূজা রূপেরই আরাধনা হয়ে থাকে৷ এখানে দেবী প্রতিমা দ্বিভূজা৷ এটাই এই পুজোর মূল আকর্ষণ৷ পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস ও প্রাচীনতার আখ্যান৷ কিন্তু এতে এর ঐতিহ্য ম্লান হয়নি৷ বরং সময়ের আবর্তে আজও উজ্জ্বল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পাবখালি গ্রামের রায়চৌধুরীদের পুজো৷ শোনা যায়, মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের অনুগ্রহ লাভ করেছিল রায়চৌধুরী জমিদার বংশ।
বাংলাদেশের যশোহর জেলার মহেশ পুর গ্রামের এই পুজো শুরু করেন সেখানকার জমিদাররা। তখন অবশ্য দেশ ভাগ হয়নি। মহেশপুরে থাকতেন তাঁরা। দেশ ভাগের পর মহেশপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে নদিয়ার পাবখালি গ্রামে চলে আসেন এই জমিদাররা। এখানে এক চালায় সপরিবারে আবির্ভূতা দেবী দুর্গা। টানা চোখে দেবী মূর্তি এক হাতে ত্রিশূল অন্য হাতে সাপের লেজ। তবে এর আটটি হাতও গড়া হয় ছোট আকারে আঙুলের মতো সরু করে। চুল, গহনা,আর ফুল মালায় সেই হাত গুলি সবই ঢাকা পড়ে যায়। ২ হাত কেবল মাত্র দেখা যায় বলে এই মূর্তিটি দ্বিভূজা নামে পরিচিত।
১লা বৈশাখে দেবীর পট পুজো। সোজা রথে প্রতিমা গড়া শুরু। মহা পঞ্চমিতে বোধন। আর ষষ্টি থেকে নবমী কলাই এর খিচুড়ি ও হোম জ্বালানো। বিশেষত অষ্টমীর সন্ধি পুজোয় প্রদীপের শিখা দেখে বন্ধুকের গুলি ছুঁড়ে পুজো শুরু ও শেষ করা হয়। আর দশমীর দিন দুর্গা দেবীকে পান্তা ভাত ভোগ আর মহাদেবকে তামাক ভোগ দেওয়া হয়। আর বিকালে ঘাড়ে বাসের দোলায় করে শিবনিবাস চূর্ণী নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়৷