মহানগর ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ‘নাটক’ বহাল এখনও। এবার বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আটক কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। বেঙ্গালুরুতে তাঁকে সতর্কতামূলক হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এবং কংগ্রেস বিধায়কদের দল ছাড়ার পর থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। এই পরিস্থিতিতে আস্থাভোট করা যায় কিনা তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও শুনানি চলছে। এসবের মধ্যেই এদিন আটক হতে হল দিগ্বিজয় সিংকে।
এদিন সকালে বেঙ্গালুরুতে আসেন কংগ্রেস নেতা। সেখান থেকে যে হোটেলে ২২ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক রয়েছেন, সরাসরি সেখানে পৌঁছন দিগ্বিজয় এবং ডিকে শিবকুমার। কিন্তু হোটেলে ঢোকার আগেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এই বাধা পেয়েই ওই হোটেলের বাইরেই ধর্নায় বসেন তাঁরা। এই ধর্না থেকেই ‘গ্রেফতার’ করা হয়েছে তাঁদের। এই প্রসঙ্গে দিগ্বিজয় বলেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে হোটেলে, বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না তারা। পরিবারের বার্তা দিতেই তাঁরা এসছিলেন বলে দাবি করেন দিগ্বিজয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাঁদের ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবারই আস্থা ভোট করাতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল ট্যান্ডন। নিজের দেওয়া চিঠিতে কমল নাথকে উদ্দেশ্য করে রাজ্যপাল ঘোষণার সুরে লেখেন, তিনি আস্থাভোটে অংশ না নিতে পারলে তাঁর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করতে পারেনি বলেই ধরে নেওয়া হবে। এই চিঠি পাওয়ার পরই বেজায় চটে যান কমল নাথ। পাল্টা চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘১৭ মার্চ আস্থাভোট না হলে আমার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক একটা দাবি।’ প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায়। পরে তা মঙ্গলবার হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এদিনও তা অনুষ্ঠিত হয়নি।