ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন তাঁর আগে নিজেদের দলের ভিত আরও আটোসাটো করতে উঠে পড়ে লেগেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। এরই মাঝে তৃণমূল দলের আসল নিয়ম নীতি বোঝাতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলকে একহাত নেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘এই সরকারের নীতি হল যতক্ষন তুমি সরকারের সঙ্গে থাকবে ততক্ষণ সব ঠিক আছে। আর যখনই থাকবে না তখন তোমার আর কোনও জায়গা নেই। এই ঘটনা আমরা পশ্চিমবঙ্গে বহুবার দেখেছি।’ উদাহরণ হিসাবে তিনি টেনে আনেন বিমল গুরুং ও ভারতী ঘোষের প্রসঙ্গ।
শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস যে গণতন্ত্রবিহীন একটা দল দাবি করে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট যা নির্দেশ দেবে তাই মেনে নিতে হবে সবাইকে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআই ও সুপ্রিমকোর্ট সবার উপরেই সন্দেহ প্রকাশ করে ওদের মতে ওরা যা বলবে সেটাই ঠিক। কিন্তু গণতন্ত্রেতো এটা চলে না।’ অন্যদিকে, শীর্ষ আদালতে বিমল গুরুংয়ের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর বিমল গুরুং প্রসঙ্গে বিজেপির অবস্থান কি তা জানতে চাওয়া হলে দিলীপবাবু বলেন, ‘গুরুং প্রসঙ্গে বিজেপি কোনও কথা বলবে না। গুরুংতো এতদিন সিকিমে ছিলেন বলে শোনা যায়। আর সেই কারনেই নাকি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এখন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এক সঙ্গে বসে কি কথা বলেছেন আমরা জানি না।’ গোর্খা জনমুক্তি প্রসঙ্গে মোর্চা সম্পর্কে বিজেপির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গুরুংয়ের দল বিজেপির জোত শরিক। গুরুং বা তাঁর দল নিয়ে বিজেপির এই মুহূর্তে কোনও অবস্থান নেই।
তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মূল হুঁশিয়ারি ছিল তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে। তৃণমূলের নেতা কর্মীদের ভারতী ও গুরুংয়ের বর্তমান অবস্থা দেখিয়ে সতর্ক করেন তিনি। এই সঙ্গে সেখানে টেনে আনেন কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। তাঁর কথায় ভারতী, ‘শোভন এঁরা তো আর কম প্রভাবশালী ছিলেন না, ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোকও। তবু তাঁদের এমন হাল হল!’ শোভনবাবুকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘শোভনবাবু তো নাকি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন বলেন দাবি করছেন। উনি দুটি জেলার সভাপতি, মেয়র, বিধায়ক, তিনটি দফতরের মন্ত্রী- তবু নাকি উনি নিঃস্ব!’ সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে এক সভায় দিলীপবাবু তৃণমূলের প্রভাব হারানো নেতাদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে, অন্য নেতাদের সাবধান করে বলেন, ‘ওঁদের দেখে শিখুন, আপনাদের কী হাল হতে পারে। বুঝুন আপনাদের জন্য কেমন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।’ dili