ডেস্ক: দিনদুয়েক আগেই মালদ্বীপে সেনা পাঠানো নিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছিল চিন। কিন্তু হুমকি দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই সুর নরম করল চিন। এবার বেজিংয়ের বক্তব্য, মালদ্বীপে সেনা পাঠানো নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে চায় না তারা। বরং এই সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে ভারতের সঙ্গেই রয়েছে ড্রাগনের দেশ।
জাতীয় সংকটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পরই ভারতের কাছে সেনা সহায়তা চায় মালদ্বীপ। এরপর চিনের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, মালদ্বীপ নিজের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম এবং কোনও বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ এই ইস্যুতে আমরা চাই না। ভারত যদি মালদ্বীপে সেনা পাঠায় তবে সেখানে আগুন জ্বলবে, এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছিল জিংপিং সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর কথোপকথনের পরই ভোলবদল। ডোকালাম সমস্যার জেরে ভারতের সঙ্গে তলানিতে গিয়ে ঠেকা সম্পর্ক এখন আর কোনও ভাবেই খারাপ করতে চাইছে না চিন।
ইদানিং সময়ে ভারত-চিন সম্পর্কটা ধাপে ধাপে নিম্নমুখী হয়েছে। প্রথমে ডোকালামে রাস্তা তৈরি নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিবাদ। এরপর ব্রিকস সম্মেলনে চিনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু নিয়ে চাপ দেয় ভারত। এছাড়াও পাকিস্তানে বসবাসকারী সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজাহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করতে চাইলেও ভারতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় চিন। সব মিলিয়ে তিক্ততা বৃদ্ধি পায়।
আজ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প মোদীর সঙ্গে ফোনে মালদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার সাংবাদিক সম্মেলন করেন চিনা বিদেশমন্ত্রক সচিব। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমাদের মালদ্বীপের গণতন্ত্র এবং সেখানের মানুষদের আবেগকে সম্মান করা উচিত। মালদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে সেখানকার অভ্যন্তরীণ মামলা। বিষয়টি নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কোনও সিদ্ধান্তে আসার প্রয়োজন রয়েছে। উল্লেখ্য, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি আব্দুল্লা ইয়ামিন ইতিমধ্যেই নিজের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ সঈদে বিশেষ দূত হিসাবে চিনে পাঠিয়েছেন। তাঁর ভারতে আসার কথা থাকলেও কিছু সমস্যার কারণে তিনি এই সফর করতে পারছেন না বলে জানানো হয়েছে মালদ্বীপ সংবাদমাধ্যম তরফে।