ডেস্ক: কর্ণাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হলেও সরকার গড়ার ক্ষেত্রে এখনও আশা ছেড়ে দেয়নি বিজেপি। আগামীকালই কংগ্রেস-জেডিএস জোটের সরকার গঠন হওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন এইচডি কুমারস্বামী। শপথগ্রহণের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত থাকবে তাবড় তাবড় বিরোধী নেতা মন্ত্রীরা। এই সমস্ত কিছু সত্ত্বেও বিজেপি এখনও পর্যন্ত জাতপাত, লিঙ্গায়ত এবং আদিবাসী কার্ড খেলতে চাইছে কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের মধ্যে। চেষ্টা একটাই, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগেই যাতে এই জোটের ‘বাড়া ভাতে ছাই’ ঢালতে পারে তারা।
অন্যদিকে, বিজেপির এই প্রচেষ্টা যে ভাবেই হোক আটকাতে উঠেপড়ে লেগেছে কংগ্রেস-জেডিএস। কিন্তু নতুন সরকার গঠন হলেও কর্ণাটকের নাটক এর পরেও জারি থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিজেপি যে এই জোটকে ধাক্কা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও আশা ছেড়ে দেয়নি তা গতকাল অমিত শাহের কথাতেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ”হোটের রুমে বন্দি বিধায়কদের যদি মুক্ত করে দেওয়া হয় তবে কংগ্রেস-জেডিএস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না। এই আচমকা জোটের কারণে বিধায়করাও অস্বস্তিতে রয়েছেন। নির্বাচন জয় উদযাপনও করতে পারছেন না তারা।” বিজেপির ভোট ম্যানেজার অমিত শাহের এই বয়ানই অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ফলে ফ্লোর টেস্টে ঘোড়া কেনাবেচার খেলায় মেতে ফের যদি নতুন কোনও মোড় নেয় এই সরকার তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
কর্ণাটকে জাতপাত যে একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে সেই আন্দাজ আগে থেকেই করেছিলেন কংগ্রেসের নেতামন্ত্রীরা। সেই তাদের কারণে প্রার্থী তালিকাতেও অগ্রাধিকার পেয়েছেন লিঙ্গায়ত ও ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের প্রার্থীরা। জয়ীদের মধ্যে ১৬ জন লিঙ্গায়ত ও ১১ জন ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের বিধায়ক রয়েছেন কংগ্রেসের। হবু মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীও ভোক্কালিগা সম্প্রদায়েরই। এছাড়াও সংখ্যালঘু মুসলিমদের ৭ বিধায়ক রয়েছেন কংগ্রেসে। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারছে না কংগ্রেস। তাই কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া লাগাতার নিজেদের বিধায়কদের বুঝিয়ে চলেছেন তারা যেন বিজেপির ফাঁদে পা না দেন। তবে কর্ণাটকের রঙ্গমঞ্চে নাটকের যবনিকা যে এখনও পতন হয়নি তা আগে থেকেই অনুমান করে নেওয়া যাচ্ছে।