নিজস্ব প্রতিবেদক, আসানশোল: বাতাসে পুজোর গন্ধ সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আজ মহালয়া। ভালো করে এখনও জামা কাপড় কেনা হয়নি। দেবী পক্ষের প্রথম দিনেই পূজিতা হন দুর্গা। আবার ফিরেও যান। পিতৃপক্ষ থাকতেই শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। তিথি অনুযায়ী মহালয়ার পরেই দেবীপক্ষের শুভারম্ভেই শুরু হয়ে যায় হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামের আগমনী দুর্গা পুজো।
আসানশোলের কালীকৃষ্ণ আশ্রমের আগমনী দুর্গা পুজোর আনন্দ যেন শুরু হয়েই শেষ হয়ে যায়। মহালয়ার দিনেই শুরু আর শেষ। এই দিনেই সপ্তমী অষ্টমী নবমী ও দশমীর পুজোও হয়ে যায়। একদিনের এই দুর্গা পুজো দেখতে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসেন আসানসোলের ধেনুয়া গ্রামে।
দামোদরের তীরে হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রাম। সেখানেই রয়েছে ছোট্ট কালীকৃষ্ণ আশ্রম। আমবস্যা তিথিতে মন্দিরে প্রথমে শুরু হয় কালী পুজো। সারারাত ধরে কালী পুজোর পর ভোর থেকে শুরু হয়ে যায় দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি। ঢাক, কাঁসর, ঘন্টা বাজিয়ে বরণ করা হয় দেবীকে। তারপর হয় কলা বউ প্রতিষ্ঠা। চলে পুজো আচার।
কালীকৃষ্ণ আশ্রমের সেবাইত জানান, ১৯৩০ সাল থেকে পুজো হয়ে আসছে আগমনী দুর্গার। দশভূজা দেবী এখানে সিংহবাহিনী হলেও অসুর থাকেন না। দেবী পরিবারের লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গনেশও থাকেন না। দুর্গার সঙ্গে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া। তাঁর গুরুদেব স্বামী দয়ানন্দ মহারাজ স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর প্রচলন করেন। তখন থেকেই চলে আসছে এই পরম্পরা।
ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের আক্ষেপ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্গোৎসব শুরু হয়ে শেষ। একদিনেই পুজোর আনন্দ ও বিষাদের সুর। তবু এই দিনের জন্যই অপেক্ষা সারা বছর ধরে। তাই উৎসবে সামিল আশ্রমিক ও গ্রামবাসীরা।