নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওড়া: রাজ্যের মন্ত্রীসভার শেষ রদবদলে গুরুত্ব বাড়ে পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। পরিবহনের পাশাপাশি তার হাতে পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্বও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তো বটেই দেশের পরিবেশবিদরাও দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন এ রাজ্যে রাস্তায় চলা যানবাহন থেকে দূষণ সব থেকে বেশি হয়। দেশের মধ্যে যত মেট্রোপলিটান শহর রয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতা বায়ুদূষণে দিল্লীর মতো না হলেও প্রায় কাছাকাছিই পৌঁছে যাচ্ছিল। কলকাতায় বায়ুদূষিত হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এখানে চলাচল করা যানবাহনের ছড়ানো বিষাক্ত ধোঁয়া। এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দেন রাজ্যে বিশেষ করে কলকাতায় ই-বাস চালু করার জন্য। সম্পূর্ন বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত এই বাস পরিষেবা আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হলেও রাস্তায় এখনও সেভাবে দেখা যায় না। এর একটা বড় কারণ হল এই ধরনের বাস নামাতে গেলে পরিবেশ দপ্তর ও পরিবহন দপ্তরের মধ্যে যে তালমিল থাকা দরকার ছিল তা মিলছিল না। কারণ পরিবহন দপ্তর শুভেন্দু অধিকারীর হাতে থাকলেও পরিবেশ ছিল কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাতে।
এখন পরিবেশ দপ্তরের পাশাপাশি পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েই শুভেন্দুবাবু রাজ্যে ই-বাস চালাতে সক্রিয় হন। মঙ্গলবার হাওড়া জেলার সদর মহকুমার সাঁকরাইল ব্লকের ধূলাগোড়ে পরিবহন দপ্তরের এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি জানান, চলতি বছরের পুজোর আগেই ৮০টি ই-বাস নামানো হবে মহানগরীর পথে।
তিনি বলেন,’পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যের দিকটিও ভাবতে হচ্ছে। তাই পরিবহন দপ্তর স্থির করেছে পূজোর আগেই আশিটি ই-বাস অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব আধুনিক প্রযুক্তির বাস চালানো হবে। পুজোর আগেই তা রাস্তায় চলবে বিভিন্ন রুটে।’ এদিন হেলমেট প্রদান কর্মসূচীও নেওয়া হয় এই অনুষ্ঠানে।